মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় পারিবারিক মনোমালিন্যর জেরে স্বামীর হাতে মোছা. চামেলী বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের বিলমন্ডব (বিল নিহারি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনায় নিহত চামেলী’র স্বামী মো. রতন খাঁ (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।

আটক রতন খা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের বিলমন্ডব (বিল নিহারি) গ্রামের মো. হারেজ আলী খাঁ’র ছেলে এবং নিহত চামেলী একই ইউনিয়নের জোনা পাট্টা গ্রামের মো. আব্দুল মালেক মন্ডলের মেয়ে। রতন-চামেলী দম্পতির গত ০৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রত্না আক্তার নামে ৪ বছর বয়সী একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ জানায়, রতন খাঁ তার বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকান চালাতো। তাদের দাম্পত্য জীবনে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই মনোমালিন্য হলে রতন খাঁ তার স্ত্রী চামেলীকে মারধর করতো। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে রতন খাঁ তার চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরলে মুরগির জন্য ঘর কেনার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রতন খাঁ চামেলীকে মারধর শুরু করে এবং রতন খাঁ তার স্ত্রী চামেলীকে তার ব্যবহৃত ওড়না গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালানোর উদ্দেশ্যে চামেলীর লাশ ঘর থেকে বারান্দায় এনে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে জোরে চিৎকার করতে শুরু করে এবং চামেলীর পরিবারকে খবর দেয়। থানায় খবর এলে পাংশা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত চামেলীর বাবা মো. আব্দুল মালেক মন্ডল বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং এর ভিত্তিতে মো. রতন খাঁ’কে গ্রেফতার করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে সেখানে আসামী তার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। চামেলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।