মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

চকলেট দেওয়ার কথা বলে চার বছরের এক কন্যা শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে আনোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে।

নরসিংদীর সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী কেরার কান্দা গ্রামে চকলেট কিনতে গিয়ে চার বছরের কন্যা শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে আনোয়ার হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত ২৭ মে, শনিবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মৃত নাজিমুদ্দিন নাজুর ছেলে। স্থানীয় একটা মুদি দোকানের মালিক তিনি।

বিষয়টি জানাজানি হলে, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম এবং মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ কামাল হোসেনসহ এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকের ভয়ে থানা গিয়ে অভিযোগ করতে পারেনি শিশুটির পরিবার।

গত সোমবার উক্ত অভিযুক্তরা এলাকার প্রভাব খাটিয়ে সালিশ বসিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে, ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার প্রতিবাদ করলে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ রাখা হয়।

গত বৃহস্পতিবার ( ১ জুন) ওই শিশুটির মা মোসাঃ কুলসুম আক্তার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত ভাবে আনোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেন।

তার পর নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন কে আটক করে মাধবদী থানা পুলিশ। আটক করে তাকে নরসিংদী কারাগারে পাঠানো হয়।

পরিবারসূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ডৌকাদী কেরার কান্দা গ্রামের মৃত নাজিমুদ্দিন নাজুর ছেলে আনোয়ার হোসেন এর মুদি দোকানে চকলেট কিনতে গেলে তাদের চার বছরের কন্যা শিশু জান্নাতুল মীমকে চকলেট এর প্রলোভন দেখিয়ে তার গোপনাঙ্গে হাত দেওয়াসহ যৌন হয়রানি করে আনোয়ার হোসেন। পরে ভয় পেয়ে মেয়েটা তার বাবা মাকে বিষয়টি জানায়।

তারা মীমের সাথে কথা বলে আরো জানতে পারেন, মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেন আগেও আরো দু বার তাকে এই ভাবে যৌন হয়রানি করেছিল।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটি সব সময় আমার দোকানে আসত। তার সঙ্গে আমি কোনো কিছু করিনি।

সালিশ মীমাংসার বিষষটি স্বীকার করে ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, যদি বাদী পক্ষের কোন মন্তব্য থাকে নিয়ে আপনারা অভিযোগ করতে পারেন। পরে তিনি কথা শেষ না করেই ফোন কেটে দেন।