রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় জর্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি জবর-দখল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাঁধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদা খাতুন, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এনামুল কবীল, সহকারী শিক্ষক আকমল হোসেন, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া লামীম, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তামিম প্রমূখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা অংশগ্রহণ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯১৬ সালে বিদ্যালয়টি ৫ একর ৫৮ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৮ সালের ২১ মে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হয়। বিদ্যালয়ে একটি পুরাতন ভবন, একটি তিনতলা ভবন ও দুটি দ্বিতল ভবন নিয়ে গঠিত। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৪ জুন সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
প্রধান শিক্ষক রাশেদা খাতুন বলেন, আমরা তো কারও সীমানায় যাচ্ছি না। তাহলে আমাদের জায়গার কেন বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। কয়েক বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এখানে নেমেছেন। এই স্কুলের মাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ তা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেষ করা যাবে না। এটা এসএসসি পরীক্ষার সেন্টার। সীমানাপ্রাচীর ছাড়া সঠিক ভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়না। সীমানা প্রাচীর দেওয়ার ক্ষেত্রে চারজন ব্যক্তি ছাড়া পাংশা শহরের সবাই খুব খুঁশি। বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজে বাধা প্রদানকারীদের বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমরা এখানে অন্তত ৫০ বছর আগে থেকে পৈতৃক জমিতে বাড়ি তুলে বসবাস করছি। এভাবে সীমানা প্রাচীর দিলে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে যাবো। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার স্কুলের সীমানা প্রাচীরের প্লাস্টার করার জন্য জায়গা রাখা হয়নি। বিষয়টি মানবিক। আমি সরকারি চাকুরি করি। কাউকে বাঁধা দেইনি। মানবিক ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।