নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:

সময়ের বেড়াজালে আটকে না থেকে বৃত্তের বাহিরে গিয়ে নতুন কিছু নিয়ে ভাবনায় মগ্ন থাকা আবু ইফতিয়ার ওরফে ইসান যার জন্ম বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বীরপলি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম আকন্দ পরিবারে। আবু ইফতিয়ার ইসান খুব ছোট বেলায় বাবাকে হারালেও হারায়নি ভাল কিছু করার ইচ্ছে শক্তি, দৃঢ় সংকল্প, আর মানবতা। ছোট বেলা থেকেই গরীব-দুঃখী মানুষের প্রতি অগাধ ভালবাসা থেকে নিজ অর্থায়নে সেমাই-চিনি বিতরণ, রক্ত দান, ফ্রেন্ডস ব্লাড ডোনার ক্লাবের দাতা সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণসহ নন্দীগ্রামের পাশাপাশি শাজাহানপুরেও শিক্ষার অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। শিক্ষা জীবনের শুরুতে বগুড়ার শেরপুর বিদ্যাবিথী স্কুল থেকে শুরু করে শাজাহানপুরের গোহাইল স্কুলে মাধ্যমিক পড়াশোনা করে শেষে নন্দীগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হোন ইসান। পরে বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইন ইলেকট্রনিক এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হোন সেখান থেকে স্কলারশিপ পেয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের ভেলর ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (vit) থেকে শেষ সেমিস্টারসহ ইন্টার্নশীপ সম্পন্ন করেন। তারপর ঢাকায় কিছুদিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরিতে যোগ দেন। সল্প বেতনের চাকুরি ইস্তফা দিয়ে এবং করোনাকালীন সময়ে হতাশ না হয়ে আরও ভাল কিছু করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। সেই লক্ষে গত ২০২১ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান ইউরোপের দেশ লন্ডনে। ইংল্যান্ডের টপ র‍্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয় ‘পোর্টস্মাউথ ইউনিভার্সিটি’ থেকে সফলতার সাথে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো তার শখ। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং বিশ্বের বাকি সবগুলো দেশ ভ্রমণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আবু ইফতিয়ার ইসান। বর্তমানে ইসান লন্ডনে বসবাসরত এবং সুনামধন্য মাল্টিন্যাশনাল পর্তুগীজ কোম্পানিতে স্থায়ীভাবে চাকুরীতে কর্মরত আছেন। আগামীতে দেশের এবং তার এলাকায় কি ধরণের উন্নয়ন করতে চান জানতে চাইলে আবু ইফতিয়ার ইসান বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তথা নন্দীগ্রামের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।