বিপুল ইসলাম আকাশ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
একটু সহানুভূতিই পারে শাকিল হাসানকে বাঁচিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধুমাইটারী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমর ছেলে শাকিল হাসান। সে নরসিংদী রায়পুরা কলেজ থেকে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎ করে তার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা অনুভব করে পরে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার লিভার জনিত সমস্যা। সে প্রায় দেড় বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগছে। বিভিন্ন খানে চিকিৎসা করেও কোনো লাভ হয়নি। ক্রমশ মাথা ব্যাথা ও লিভার জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অসুস্থতার কারণে সে আর কলেজে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছে না।
এদিকে বলতে গেলে ছেলেটা এখন এতিম। মাকেও হারিয়েছে অনেক আগেই। অসুস্থতার এ সংকটময় সময়ে পাশে বড় ভাই ও বন্ধুদের ছাড়া আর কাউকে পায়নি সে। বন্ধু শরিফুজ্জান সাগর, নুর আলম মিয়া নুর, কামরুল হাসান সাব্বির, নূর তাওহীদ নোবেল, ফাওজুল কাবীর, মুশফিক প্রামাণিক লাদেন, আবু হুজাইফা, শিহাব প্রামাণিক, কাজী লাবিব, শিশির, রিফাত, রোকন, শাওন, রাজিন প্রমূখ। তারা চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে টাকা সংগ্রহ করছেন।
বন্ধু শরিফুজ্জামান সাগর জানান, শাকিল হাসান বর্তমানে রংপুর মডার্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার দৈনিক ঔষধ কিনতে লাগে ১৫’শত টাকা ।
চিকিৎসকরা জানান, অপারেশন করাতে প্রায় দুই লাখ টাকা লাগবে। বর্তমানে শাকিলের অবস্থা খুবই করুণ। অসহ্য ব্যথায় দিনাতিপাত করছে শাকিল। দেশের বাইরেও নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
সংকটময় সময়ে এখন সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব। মেধাবী এই ছাত্রকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলে উল্লেখিত তার নিজস্ব (শাকিল হাসান) বিকাশ- ০১৯৬৩৭৭৩৮১৩, নগদ- ০১৭৮০২৯০২১৭ নম্বরে সাহায্য পাঠানো যাবে।