রাজবাড়ীঃ
রাজবাড়ীতে প্রতিদিন হুহু করে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়েছে ১২জন। তবে হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড নেই।
১৬ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালের সেবাপ্রত্যাশীদের অনেক ভীড়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ বর্হিবিভাগের চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে রোগীদের জটলা। কোথায়ও কোথায়ও সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা বিভাগে অনেকেই শয্যা না পেয়ে নিচে শুয়ে আছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তরা শয্যার চারপাশে মশারী টাঙিয়ে রেখেছেন। একরোগী দীর্ঘসময় বিছানা ছেড়ে বাইরে গেছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুন শেখ বলেন, ‘আমি রাজবাড়ী বাজারে একটি কাপরের দোকানে চাকুরি করি। আমি গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। বাজারের ১৫ থেকে ২০জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিল। তবে বেশির ভাগ বাড়িতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।

রাজবাড়ী পৌর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম গতবুধবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি।

আইনজীবী অভিজিৎ সোম বলেন, আমি ময়মনসিংহ বেড়াতে গিয়ে ছিলাম। বাড়িতে আসার ১০ দিন পর জ্বরে আক্রান্ত হই। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডেঙ্গুরোগ সনাক্ত করা হয়। আমার রক্তের প্লাটিলেট আশঙ্কাজনক হারে কমে গিয়ে ছিল। আমার চেতনা ছিল না। আমাকে দ্রুত ঢাকার ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পর আমি সুস্থ হই। আমরা ধারণা, আমি রাজবাড়ী থেকেই ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে ছিলাম।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ডেঙ্গুরোগীদেও জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, এটা ছোঁয়াচে কোনো রোগ নয়। সবাই মশারির ভেতর থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। জেলায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে নাই।