মোঃ মুক্তাদির হোসেন, বিশেষ  প্রতিনিধিঃ

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা  আওয়ামী লীগের উদ্যোগে  বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিকাল ০৫ ঘটিকার সময় কালীগঞ্জ উপজেলা  আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা  আবদুল  মতিন সরকার এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আবু বকর চৌধুরীর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠান টি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও  কালীগঞ্জের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেত্রী গাজীপুর ০৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড্যা: আশরাফী মেহেদী হাসান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,  কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি জুয়েনা আহমেদ, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী  হারুন অর রশিদ টিপু, বক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মোঃ  মজিবুর রহমান (পলাশ),কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য  মোঃ আহমদুল কবির, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  কালীগঞ্জ পৌর মেয়র এস এম রবীন হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামীন খাঁন,উপজেলা  আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি  বাবু পরিমল চন্দ্র ঘোষ, কালীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান  মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ প্রমূখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন ভান্ডারী,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম (সিজু),কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা পারবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসমিন বেগম, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোঃ ইব্রাহিম খন্দকার, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম সুমন, দপ্তর সম্পাদক আমীর খন্দকার, পৌর আওয়ামী যুব লীগের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমির হোসেন, সহ কালীগঞ্জ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অংঙ্গ সংগঠন এর নেতৃত্বি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ০৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহাকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালো রাত্রিতে জাতীর জনকের স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে, ঘাতকদের অনেক আকুতি করে ও শেষ রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর পরিবার।সেই কালো  রাত্রীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর তনয়া শেখ রাসেল কে ছাড়েনি ঘাতকরা।

ইতিহাসের কোন জঘন্যতম মৃত্যু ঘটনা শেখ পরিবারের হত্যাকান্ড,বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্ধী জীবন-যাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন।এই ময়শী নারীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়েছে। ৫২ র ভাষা আন্দলোন,৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের১৫ আগষ্ট কালো রাত্রি তে নিহতদের স্মরণে দোয়া কামনা করেন , দোয়া মাহফিলে দোয়া  পরিচালনা করেন, উপজেলা ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ  হাবিবুর রহমান।