বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে খোলা সয়াবিনের কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার খোলা সয়াবিনের কেজি ১৬৮টাকা নির্ধারণ করে দিলেও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম।
বুধবার (২রা মার্চ) বিকালে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা বাজারে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে খোলা ও বোতলজাতকরণ সয়াবিন তেলের দামে ১৫ থেকে ২০ টাকা পার্থক্য দেখা যায়। ওই বাজারের মেসার্স বকসা স্টোরের কর্মচারী মিলন চন্দ্র জানান,খোলা সয়াবিন তেল,১৯০টাকা,সরিষার তেল ২০০টাকা কেজি এবং বোতলজাতকরণ সয়াবিন তেল১৮০ টাকা লিটার বিক্রি করা হচ্ছে।
ঐ দোকানের আর এক কর্মচারী লাল মিয়া আরো জানান,চিনি ৮০টাকা কেজি,ময়দা ৩০টাকা,আটা ৩২টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
ডাল ব্যবসায়ি ইকবাল হোসেন জানান,বড় মসুর ডাল ১০০, দেশি মসুর ডাল ১২০, মাসকলাই ১০০ মুগডাল ১৪০, অ্যাংকার ৫২, বুটের ডাল ৮০, খেসারির ডাল ৮০, মটর ১০০, ছোলা বুট ৭০, খোলা আটা ৩৫, প্যাকেট ৪০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বামনডাঙ্গা বাজারের সবজি বিক্রেতা হানিফ মিয়া বলেন, সব প্রকার সবজির দাম কোনটা কমেছে আবার কোনটা বেড়েছে।তিনি জানান, শসা ৩০, বেগুন ৪০, টমেটো ২৫, গাজর ২০, কাঁচামরিচ ৫০,পিয়াজ ৪০/৪৫, রসুন,৩৫/৪০,সিম ৪০,করলা ১৫০, ফুলকপি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৪০, লাউ ৩০ ও এক হালি কাঁচকলা ২০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা পার্থ রাম রায় জানান, পাঙ্গাশ ১৪০, রুই মাছ ২৫০, পাবদা ৪০০, সিলভার মাছ ১৮০, রাজপুঁটি ২০০, পাঁচ মিশালি গুড়া ৪০০, টাকি মাছ ৩০০, চিংড়ি ৬০০, টেংরা ৬০০, মৃগেল ৩০০, কার্ফু ২৫০, শিং মাছ ৪০০, কাতল মাছ ২৫০, তেলাপিয়া ১৬০, কৈ মাছ ২৫০, বোয়াল মাছ ১০০০ কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মন্টু মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে, সোনালী মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। সোনালী মুরগি ৩০০, ব্রয়লার ১৫০, কক মুরগি ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা হালি, ফার্মের মুরগির ডিম ৩৫ টাকা হালি, হাঁসের ডিম ৫৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা মজিদ মিয়া বলেন, গরুর ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া খাসির মাংস ৭০০থেকে ৭৫০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দ্রব্য মূল্যের উদ্ধগতিতে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যবৃত্ত পরিবারের একজন জানান,বাজারে তেল,ডাল সহ অন্যান্য দ্রব্যের দাম যেভাবে বাড়ছে আর কিছুদিন গেলে না খেয়ে থাকতে হবে।