আহসান হাবীব নাহিদ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে জুয়ার আসরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জুয়াড়ি ও তাদের সহযোগী কর্তৃক হামলা শিকার গণমাধ্যম কর্মী। এ-সময় তার নিকটে থাকা স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
মোঃ জালাল উদ্দীন দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি। গত ১৩ মে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ধারাই গ্রামের ধারাই চতরা বিলের পুজামন্ডবের মাঠের মেলায় ছয়গুটির ডাবু চলাকালীন সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জুয়ারিরা সংঘবদ্ধ ভাবে এ ঘটনা ঘটায়।
এলাকাবাসীরা বলেন, বাংলা বৈশাখ মাসের প্রতি মঙ্গলবার পুজা হয় সাথে বসে মেলা। গত সব কটি মেলায় পলাশবাড়ীর নিচিন্তীপুরের জুয়ারি বাবলু ও আমবাড়ীর শরিফুল, ইসলাম, নেতৃত্বে চলছিলো জুয়া। তাদের দাপটের কারণে মেলা কমিটি ও এলাকাবাসী, স্হানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।এই সুযোগে তাদের নেতৃত্বে প্রকাশ্য চলে ছয়গুটির জমজমাট জুয়া খেলা। খেলা চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমকর্মী ছয়গুটির জুয়ার ছবি তুলতে গেলে কিল ঘুষি দিয়ে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় জুয়ারু ও তাদের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত স্হান ত্যাগ করাই। আমরা স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে না পারলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
সাংবাদিক চলে যাওয়ার পর শরিফুল ইসলাম বলছিলো গত বছর এই সাংবাদিকের জন্য জুয়া খেলতে পারেনি। খেলতে না পারায় তাদের দুই লক্ষাধিক টাকা লোকসান হয়েছে। ঐ সাংবাদিক জুয়া খেলার ভিডিও নাকি এসপির নিকট দিয়ে ছিলো যার কারণে জুয়া খেলতে পারে নাই। আজকে খেলা চালাতে না পারলে এক লক্ষ টাকা লোকসান হবে।
তারা একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে আমাদের এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে লোকজনকে জিম্মি করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এদের ভয়ে আমরা কাউকে কিছু বলি না। আমরা আপনাকে এ কথা গুলো বলছি যদি জানতে পারে তাহলে আমাদের মেরে ফেলবে।ইতিপূর্বে পলাশবাড়ী উপজেলার এই গ্রুপের সদস্যরা ইদিলপুর গ্রামের একজন নিরীহ ঈমাম কে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে ছিলো। দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে পলাশবাড়ী উপজেলা কতিপয় দুষ্কৃতিকারী সাদুল্লাপুর উপজেলা ডুকে একের পর এক অপকর্ম করছে।তারা ইদিলপুর ইউনিয়ন কে পলাশবাড়ী উপজেলা ছিটমহল বানিয়াছে। সাংবাদিক চলে যাওয়ার এক ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ হাজির হলে বন্ধ হয় জুয়া খেলা।
এ বিষয়ে আহত গণমাধ্যমকর্মী জালাল উদ্দীন বলেন,আমি মেলায় গিয়ে দেখি ছয়গুটির ডাবু চলছে মন্ডবের সামনে।
এ বিষয়ে উপস্থিত গ্রাম পুলিশ কে জিজ্ঞেস করি কি হচ্ছে সে উত্তর দেয় আমরা কি করবো ভাই।পরিচিত কয়েকজনের সাথে কথা বলতে বলতে খেলার ভিডিও গোপনে ধারন করি। এমতাবস্থায় আমবাড়ীর শরিফুল ইসলাম সহ কয়েকজন ব্যক্তি আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।অবস্থার বেগতি দেখে পরিচিতরা আমাকে উদ্ধার করে মটর সাইকেলে উঠে দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বিষয়টি সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করি।ইদিলপুর ইউনিয়নের
ধারাই মেলার জুয়ার খেলা দেখে আশির দশকের জুয়া খেলার কথা মনে পড়ে গেছে। নেতৃ স্হানীয় ব্যক্তিদের নাম বলা মাত্র তারা আক্ষেপ করে বলেন আমরা ওদের সাথে পারি না। অভিযোগ করেছি কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্হা নেয়নি।ভাবছি লেখা লেখি বন্ধ করে দিবো ।সৎ থাকলেই বিপদ চারদিকে গ্রাস করছে।
এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়ে ছিলো।জরিত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।