মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :
রাজবাড়ীতে “মোড়কে উল্লিখিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP)-তে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিশ্চিত করা হোক” শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (৩১মে) রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাচার সার্ভিস এসোসিয়েশন (নাসা) রাজবাড়ী শাখা।
কর্মসূচির শুরুতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। পরে এ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী ন্যাচার সার্ভিস এসোসিয়েশনের (নাসা) নির্বাহী পরিচালক মনিরুজ্জামান সোহেল, মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা সমন্বিত প্রমিলা মুক্তি প্রচেষ্টার পরিচালক মো. মোকাররম হোসেন, জেলা সমপদ এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হেলাল উদ্দিন সরদার, জেলা দরিদ্র মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জামিল চৌধুরী, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরাফাত আহম্মেদ প্রমুখ।
রাজবাড়ী নাসার নির্বাহী পরিচালক বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি এ জাতীয় দ্রব্যের কর বৃদ্ধি তামাক নিয়ন্ত্রণে একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও শক্তিশালী মাধ্যম। এ অর্থবছরে ২ দফায় তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি করায় জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এটি সরকারের একটি ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় বহন করে। আমরা চাই এ ধরনের দ্রব্যে আরও কর বৃদ্ধি করে তামাকের ব্যবহার মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ জোরদার করা হোক।
জেলা দরিদ্র মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জামিল চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে ধোয়াযুক্ত তামাক পণ্যের উপর কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ধোয়াবিহীন তামাক পণ্য কর আদায় ও মনিটরিং ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় এ জাতীয় পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে এ সংক্রান্ত দপ্তর ও প্রশাসনসহ সকলকেই আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।
মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তামাক হচ্ছে এক ধরনের বিষ, যা মানুষের শরীরকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। বর্তমান সময়ে তামাক গ্রহণের প্রবণতা অনেক বেশি। তবে একটি বয়সে এলে আমাদের সমাজের অধিকাংশ শিশু-কিশোরেরা তামাকজাতদ্রব্য গ্রহণকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে তৎপর না হলে ভবিষ্যতে এর ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলবে।
এসময় তারা তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষে মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর নিয়মিত কর বৃদ্ধি, শক্তিশালী তামাক করনীতি প্রণয়ন, তামাক কোম্পানি থেকে শেয়ার প্রত্যাহার পদক্ষেপ ও দ্রব্যের মোড়কে দামে বিক্রয় ও মনিটরিং নিশ্চিত করার দাবি জানান।