লেখক: মোঃ শরিফুল ইসলাম বাপ্পি, কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

গত সোমবার ইন্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে জন্মদিন পালন করা হয়। দক্ষিণ বঙ্গের অগ্নিপুরুষ, কর্মবীর নেতা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এম,পি,। যার স্পর্শে আমূল বদলে গিয়েছে ফরিদপুর। প্রমিথিউসের মতো আগুন এনে ফরিদপুরকে গড়ে তুলেছেন আধুনিক রূপকথার নগরীতে। বিগত চল্লিশ বছরে ফরিদপুরের যত গ্লানি ও জরা ছিলো তা দূর করে গড়ে তোলেন আধুনিক সভ্য ফরিদপুর। জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা, খেলাধুলা, আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক সচেতনতাসহ আধুনিকতার সবকটি সূচককে অতিক্রম করে নয় বছরে তার নেতৃত্বে ফরিদপুর গড়ে উঠল এক বিস্ময়কর আধুনিক নগর রূপে।

দেশাত্মবোধ আর জনসেবা যে ধ্যানজ্ঞান আর মেধা বুদ্ধির শুভ আলোর স্পর্শে তিনি ফরিদপুরকে স্বপ্ন সংকল্পে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকসহ সকল অপরাধকে পদদলিত করে তিনি গণমানুষের এক অমর স্লোগান হয়ে ওঠেন। তার এই যুদ্ধ সংগ্রামের সাহসি পথে তৈরি হয় ষড়যন্ত্র। নানা প্রতিকূলতাকে সততা আর ভালোবাসার সজল বরষায় নির্মল আর স্বাচ্ছন্দ্যের ধারায় সার্বজনিন করে তোলেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ভালোবাসার অপার মহিমায় বিরোধীকেও তিনি আপন করে নেন। ফরিদপুরকে বদলে দেবার যে অনবদ্য প্রেরণা সেখানে তিনি আপোষহীনভাবে কাজ করে যেতে থাকেন। এই যে তার ফরিদপুর গড়ার পন সেই অবস্থান থেকে তাকে বিচ্যুত করতে পারেনি আজও কেউ। কেবলমাত্র বৃহত্তর ফরিদপুরই নয়, গোটা বাংলাদেশে তার স্বাদৈশিক কর্মযজ্ঞ ছড়িয়ে পরেছে আপনধারাতে।

১৯৪২ সালে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী একটি মুসলিম পরিবারে মাতুলালয়ে গেরদায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। মা রত্নাগর্ভা হাসিনা মমতাজ ও বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়া। শৈশবে গেরদায় তিনি মাতৃস্নেহ আর আদর্শে সমৃদ্ধ প্রকৃতির মতোই বড় হতে থাকেন। ফুটবল খেলা ছিল তার প্রিয়। সাইকেল চালিয়ে তিনি স্কুল-কলেজ করেছেন। সেদিনের ফরিদপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এমন আধুনিক ছিল না। অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে তাকে ছাত্র জীবন পার করতে হয় তাকে। তাই জীবন সংগ্রামের বাস্তবতাগুলো তার খুব চেনা জানা। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মায়ের মতো দরদী আর স্নেহময়। স্বভাবসুলভভাবে বাবা মতো পরোপকারী দানশীল, মানুষপ্রীতির ও সাংস্কৃতিক মনা। স্কুল পেরিয়ে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে পড়াশোনাকালীন সময়ে তিনি সবার কাছে জ্ঞান আর সততার মাধ্যমে অনন্য মেধা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত পান। পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক ও ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যের স্ট্রেথক্লেইড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রধান কারিগরি পরামর্শক হিসেবে সিয়েরা লিওনে (১৯৮০-৮৯) এবং উগান্ডায় (১৯৮৯-৯০) কর্মরত ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে মহারাণী এলিজাবেথের সঙ্গে দুটি ফলপ্রসূ সভায় নেতৃস্থানীয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের কারিগর এলজিইডির প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর মন্ত্রিসভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম এবং ৩০ ডিসেম্বর ১১তম সংসদ নির্বাচনে পুনরায় ফরিদপুর-৩, সদর আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ যোগ্যতার ভিত্তিতে পুরস্কার হিসেবে ২০১৫ সালের ৯ জুলাই তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এক্ষেত্রে মেধা আর যোগ্যতার চমক সৃষ্টি করেন তিনি যা পূর্বে কেউ দেখাতে পারেননি। আওয়ামীলীগ সরকারের অন্যতম বৃহৎ প্রজেক্ট “একটি বাড়ি, একটি খামার” প্রকল্পের জনকও তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরের গণমানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একটি মাস্টারপ্লান তৈরি করে ফরিদপুরকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। এ জেলার অর্থনীতি, কৃষি, সাংস্কৃতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানসহ সকলক্ষেত্রে প্রকল্পভিত্তিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন শুরু করেন। ক্রমাগতভাবে অনুন্নত ফরিদপুর উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যেতে থাকে। গ্রামীণ জনপথ আর শহরের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে সমানতালে তিনি মানুষের জীবনকে উন্নয়নের শীর্ষে আনতে শুরু করেন। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এ জেলার মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন ঘটে। বদলে যাওয়া ফরিদপুর হয়ে ওঠে এদেশের উন্নয়নের রোল মডেল।

রাজনৈতিক বৈষম্যে ফরিদপুর অঞ্চলকে বিগত দিনের রাজনৈতিক সরকারগুলো পদ্ধতিগতভাবে পেছনে ফেলে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি ফরিদপুর হওয়ায় এ জেলার উন্নয়নে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রকল্প ছিল না। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতা ভেদ করে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনে। একের পর এক সমস্ত বিপর্যয় কাটিয়ে দেশ স্বনির্ভরতায় এগিয়ে যেতে থাকে। এ ছাড়া বিশ্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গৌরবের ইতিহাসে অর্ন্তভুক্ত হতে চলেছে। এমনই সময় এদেশের কয়েকটি সমৃদ্ধ জেলার মধ্যে ফরিদপুরও অর্ন্তভুক্ত হয়।

এ জেলার মানুষের প্রাণস্পন্দনে আসতে থাকে সাফল্য ও সমৃদ্ধ। ফরিদপুরকে একের পর এক উন্নয়নের নক্ষত্রলোকে উজ্জীবিত করতে থাকেন এ জেলার গণমানুষের নেতা এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। নির্বাচনে জয়ী হবার পর ফরিদপুরবাসীর বিশেষ করে নদীপারের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ দুর্দশা পদ্মা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরিদপুর শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকা থেকে সুদূর চরভদ্রাসন হাজিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করান। কৃষি উন্নয়ন ও গ্রামীণ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অসংখ্য সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করেন।

তিনি দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুনরায় আধুনিকায়নের মাধ্যমে সচল করেন। কর্মসংস্থানের লক্ষে শহরতলীর লক্ষীপুর চুনাঘাটা এলাকায় গড়ে তোলেন মেরিন একাডেমি। ফরিদপুর শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নির্মাণ করেন রোড ডিভাইডার। শহরের বায়তুল আমানে গড়ে তোলেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ বেডে উন্নীত করেন। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজেন্দ্র কলেজকে শিক্ষা ও অবকাঠামোগতভাবে উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পল্লী কবি জসীম উদদীনের সাতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দপুরে একটি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা নির্মাণ করেন। শিশুদের মননশীলতা বিকাশে ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে ফরিদপুর শিশু ও শিল্পকলা একাডেমিকে নতুন রূপে গড়ে তোলেন। বেকার সমস্যা নিরসনে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

দেশ ও বিদেশে সাধারণ নাগরিকদের সেবার মান উন্নয়নে ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় গড়ে তোলেন নান্দনিক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। শিশুরা আনন্দময় সময় কাটাবার জন্য শহরের গোয়ালচামটে গড়ে তোলেন পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্ক। শিল্প কলকারখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরও গতি সম্পন্ন করার লক্ষে ধুলদী এলাকায় গড়ে তোলেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সেখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়ে সারাদেশকে আলোকিত করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উন্নত আবাসিক ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উপজেলায় নান্দনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। খেলাধুলার মান উন্নয়নে আধুনিক মানের শেখ জামাল স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছেন।

ফরিদপুরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র তিতুমির বাজারকে জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে মুক্ত করে আধুনিকমানের বহুতল কমপ্লেক্স ভবনে রুপান্তর করেছেন। কুমার নদের ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বসে পড়া আলীমুজ্জামান সেতুকে পুনরায় নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করেছেন। এছাড়া ফরিদপুরের প্রত্যেকটি এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সড়ক উন্নয়নসহ বিবিধ উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এজেলার মানুষের অর্থনীতিক উন্নয়নে তিনি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন।

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজে আচ্ছন্ন অনুন্নত ফরিদপুরকে তিনি টেনে তুলেছেন স্বমহিমায়। ফরিদপুরবাসীকে নিরাপত্তাহীনতা থেকে মুক্তি দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছেন তিনি। এখন বদলে যাওয়া ফরিদপুরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের কোনো জায়গা নেই। ব্যবসায়ী খেটে খাওয়া মানুষসহ মা বোনেরা যে কোনো সময়ে নিরাপদে নিশ্চিন্তে শহরে চলাচল করতে পারে। তার পথচলা থেমে নেই। ফরিদপুরকে বিভাগ ও সিটি করপোরেশনে রুপান্তর করে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার কাজে হাত দিয়েছেন অক্লান্ত কর্মবীর সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এ দিকে চরাঞ্চলবাসীর জীবনের মান উন্নয়নে সময় উপযোগী প্রকল্পভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে চরবাসীকে আলোকিত করেছেন। দুর্গম চরাঞ্চলে ভাগ্যহত মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি। কর্মসংস্থান জীবন যাপনের পথসহ নানা উপায়ে আজ চরের মানুষ স্বচ্ছন্দ্যে শহরের সঙ্গে অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারছে। চরের ভূমিহীনদের স্থায়ীভাবে জমি বরাদ্দ, গৃহনির্মাণ, গবাদীপশু প্রদান, নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। কুপির আলোর সিমীত জীবনযাপন থেকে আজ চরবাসী আলোর প্রভাতে উজ্জীবিত হয়েছে। চরের ঘরে ঘরে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কারণে তাদের জীবনমানে এসেছে সাফলতা। আধার কাটিয়ে এখন তারা টেলিভিশন দেখছেন সারাদেশের খবরাখবর জানছেন, চরের ছেলেমেয়েরা পাঠ্যপুস্তকে মনোনীবেশ করছে। এছাড়া চরবাসীকে আরও আধুনিক করার লক্ষে এলজিআরডি মন্ত্রী নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

পদ্মা নদীর উপর আলীয়াবাদ ও ডিক্রীরচর ইউনিয়ন এলাকায় তিনটি ব্রিজ নির্মাণের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। এই সেতু তিনটি নির্মাণ হলে চরবাসীর জীবন ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক মুক্তির পথ খুলে যাবে।

বিবিধ উন্নয়নের পাশাপাশি দরিদ্র ও বঞ্চিত এবং নারী উন্নয়নে তিনি অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অভাবী মানুষকে প্রতিমাসেই নানা বিপর্যয়ে নগদ অর্থ, ঢেউটিন, সেলাই মেশিনসহ সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। নারী নির্যাতন বন্ধে তিনি পুরো জেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আজ ফরিদপুরের নারীরা সমর্যাদায় এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর কর্মসংস্থানের উন্নয়নে এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মসংস্থানের পথ তৈরিসহ নিম্নআয়ের নারীদের আর্থিক উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। বিধবা ভাতা, মাতৃশিশু ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পসহ হতদরিদ্রদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান প্রকল্পসহ উন্নয়নের নানা প্রকল্প গ্রহণ করে তিনি ফরিদপুরকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন।

গ্রামীণ উন্নয়নের পাশাপাশি ফরিদপুর শহরকে আধুনিক ও বাসযোগ্য করার লক্ষে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ নির্মূল করে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে এনে রোড ডিভাইডার, বাইপাস সড়ক, মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ, নুরু মিয়া স্কয়ার নির্মাণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহরকে ভিন্ন আঙ্গিকে গড়ে তুলেছেন। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ ও ফরিদপুর পৌরসভাকে আধুনিকায়ন করে সেবার মহাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সদর উপজেলাকে গতি সম্পন্ন করে সেখানে একটি আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষের পথে।

এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও চার্চের উন্নয়নের মাধ্যমে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন- পবিত্র ঈদুল আযহা, দুর্গাপূজা, নামযজ্ঞ, বড়দিনের অনুষ্ঠানগুলোতে ধারাবাহিক যোগদানের মাধ্যমে ও সহায়তা প্রদান করে ফরিদপুরে শান্তির অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন তিনি।

বিগতদিনের বিপর্যস্ত ফরিদপুরকে স্বনির্ভরতায় গড়ে তুলতে তিনি যে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন তা বিরল। ফরিদপুরের কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদান করে ফরিদপুরের কৃষি শিল্পকে সময়উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন। সেদিনের খাদ্য সংকটের ফরিদপুর আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দরিদ্র কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়রে তিনি কাজ করেছে।

১২ বছরে ফরিদপুরের জনপদে যে উন্নয়ন বাস্তবায়ন হয়েছে বিগত পঞ্চাশ বছরে তৎকালীন সময়ে তা হয়নি। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আস্থা একাগ্রতা সততা আর নিষ্ঠা একটি জেলাকে পরিপূর্ণ করতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ জেলার মানুষের প্রাণে আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে গণমানুষের জননেতা মোশাররফ ভাই। দেশ ও মানুষের উন্নয়নে তিনি বেঁচে থাকুন সুস্থ থাকুন উন্নয়নের মশাল নিয়ে অন্ধকার ভেঙে এগিয়ে থাকুন এ প্রত্যাশা জেলাবাসীর। বদলে যাওয়ার বদলে দেবার স্বপ্ন সংকল্পে আমরা আমাদের সোনার ছেলে মোশাররফ ভাইয়ের সংগ্রামে ধারাবাহিকভাবে পাশে থেকে আরও মাইলফলক পথ হেটে যেতে চাই। বদলে যাওয়া ফরিদপুর আরও উন্নয়ন সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠুক। এগিয়ে যাওয়া এই সংগ্রামের ধারায় আমরা ফরিদপুরের কৃতি সন্তান সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাজনৈতিক আদর্শে সম্পৃক্ত থাকবো অবিরাম।( জাগো নিউজ থেকে নেওয়া আংশিক)