বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরী গ্রামে সাতগিরী কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায়ই তালাবন্ধ থাকে। সেবাদান কারী (সিএইচসিপি) দরজা বন্ধ করে চলে যান ব্যক্তিগত কাজে। সরকারি চিকিৎসা না পেয়ে প্রায় দিনই ফিরে যেতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের।

উপজেলার সাতগিরী কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কারী (সিএইচসিপি) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কমিউনিটি ক্লিনিকে বেশ কয়েকজন রোগী ওই ক্লিনিকের সামনে ঘোরাঘুরি করছেন। ওষুধ নিতে আসা ঐ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানাযায়, সাতগিরী কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না।সেবাদান কারীর (সিএইচসিপি) জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কখন আসবে কোনদিন আসবে। যদিও নিয়ম আছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সেবাদান কারী(সিএইচসিপি) বসেন। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত তালাবন্ধ থাকে এ ক্লিনিক। তবে যদিও সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সেবাদান কারী (সিএইচসিপি) আসেন কোনো দিন বেলা ১১টা আবার কোনো দিন ১২টায়। এক থেকে দুই ঘণ্টা কিংবা জোহরের আযান কানে পৌছা মাত্র ক্লিনিক তালাবন্ধ করে চলে যান। সপ্তাহে কোন দিন খোলা থাকবে এ কমিউনিটি ক্লিনিক সেটাও নির্দিষ্ট করে স্থানীয়দের কেউই বলতে পারে না। প্রায় প্রতিদিন ওই ক্লিনিকে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় অর্ধশত মানুষকে।

এলাকাবাসী আরো জানান,কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কারী (সিএইচসিপি) শাহিনুর বেগম নিজের মনগড়া ভাবে সেবা দেন সরকারী নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করেন না।তিনি সেবা নিতে আসা অনেক রোগীকে সেবা দেওয়া তো দূরে থাক তাদের খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেন এমনকি অফিস সময় চলাকালে তিনি কচুর লতা,শাক-সবজি তুলতে ব্যস্ততম সময় পার করেন।

 

টানা দুই দিন চেষ্টার পর সাতগিরী কমিউনিটি ক্লিনিক এর সেবাদান কারী(সিএইচসিপি) শাহিনুর বেগমের সাথে সাক্ষাত হলে তিনি তার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে নারাজ,ও সাংবাদিকের প্রশ্ন এরিয়ে এক সময় সাংবাদিকের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।তবে সাংবাদিকদের জোড়ালো প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন হ্যা আমি দুপুর ১টায় বাসায় চলে যাই আমার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন।আপনাদের কে বলার মত আমার কিছু নাই।

এবিষয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রানু মিয়া বলেন,সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান গ্রামাঞ্চলের ‘কমিউনিটি ক্লিনিক কিন্তু সেখানে সেবা কর্মীদের কাজের তদারকির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নাই বলে দিনের পর দিন অফিস ফাকি দিয়ে চলছেন সিএইচসিপি।প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার নিয়ম থাকলেও ক্লিনিকটি খুলতে খুলতে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে দশটা বাজিয়ে দেয়। আবার দুপুর ১টা বাজতে না বাজতেই বন্ধের তোড়জোড় শুরু করে সেবাদান কর্মী।

 

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃমোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জানান, সাতগিরি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কারীর (সিএইচসিপি) বিষয়টি অবগত হয়েছি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।