রুহুল আমিন স্টাফ কোয়ার্টারঃ

নতুন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষকরা জয়পুরহাটে নতুন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষান-কিষানিরা। রোপা আমনের শুরুতেই অনাবৃষ্টি আর শেষদিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় সময় পার হলেও আশানুরূপ ফলন হওয়ায় বেশ খুশি তারা। আর পুরো মৌসুমজুড়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার কথা জানালেন কৃষি বিপণন অধিদফতর।
নতুন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষকরা শাহিদুল ইসলাম সবুজ
হেমন্তের কুয়াশামাখা সকালে মাঠে মাঠে নুয়ে পড়া ধানগাছের গোড়ায় কাস্তে চালাচ্ছেন কৃষকরা। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে কার্তিক মাসের শুরু থেকেই জয়পুরহাটের বিভিন্ন মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ফসল তোলার উৎসবে ক্ষেত মজুরদের পাশাপাশি কিষান-কিষানিরা কাজ করছেন।
অথচ রোপা আমন লাগানোর শুরুতেই অনাবৃষ্টি আর শেষের দিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণে অনেকটাই চিন্তিত ছিলেন কৃষকরা। তবে শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ ফলন পেয়ে দারুণ খুশি কৃষক।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক এবার এক বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিল। শুরুতে অনাবৃষ্টি আর শেষের দিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণ তাকে চিন্তায় ফেলে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিঘায় ১৮ মণ ধান পেয়ে খুশি।
এদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার মো. আবদুল করিম বলেন, জেলায় এবার ৬৯ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ উপজেলায় ৩ হাজার ৪৩৭ হেক্টর জমির ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে।
আর জেলা বিপণন কর্মকর্তা কার্যালয়ের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, পুরো মৌসুমজুড়ে কৃষকরা যেন ভালো বাজার পায়, সে জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।