মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

রেল যেখানে বন্ধ করে দেওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। সেখানে এখন ঈদযাত্রায় মানুষের কাছে সর্বোত্তম অবলম্বন হয়েছে রেল। গত দুই ঈদে যারা রেলপথে গিয়েছেন তারা সহজে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন।
রাজবাড়ীতে রবিবার (২৩জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে  আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, রাজবাড়ী রেলের শহর ছিল। সেই রেলের শহরের বিলুপ্তি ঘটেছিল। রেলের শহর হিসেবে আর রাজবাড়ীর নাম ছিল না। দেশে বিএনপির আমলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে রেল লাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। রেল লাইন খুলে বিক্রি করে ফেলা হয়েছিল।  রেলের শহর হিসেবে  রাজবাড়ী বাসীর জন্য একটা আলাদা ট্রেন দেওয়া হয়েছে। এটি ফরিদপুর-ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা যাতায়াত করছে। রাজবাড়ীতে দেশের সর্ববৃহত রেল কারখানা হচ্ছে। কারখানা হলে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া রাজবাড়ীকে রেলের একটি ডিভিশন করার চেষ্টা চলছে। আমরা যখন কলেজে পরতাম তখন রাজবাড়ীতে একটা সুন্দর স্টেশন ছিল। এখন দেখলে খারাপ লাগে। এখানে একটা সুন্দর স্টেশন তৈরি করা হবে। ইতমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে এখন রাজবাড়ীতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় আসা যায়। রাজবাড়ী আবার ট্রেনের প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে এদেশটাকে স্বাধীন করা হয়েছিল। এটা হলো আওয়ামী লীগের সবচাইতে বড় অর্জন। তিনি বলেন, দেশটা স্বাধীন করার পর দেশি ও বিদেশীরা চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো। আমদেরকে পিছিয়ে দেওয়া হলো। আর স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে চক্রান্ত করা হলো। কিন্তু চক্রান্ত বেশি দিন থাকে না। বেশিদিন টিকতে পারে না। মিথ্যাচার বেশিদিন টিকতে পারেনা। যখনই জাতিসংঘ থেকে আমাদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষন হিসেবে ঘোষনা দেওয়া হলো। তারপর সবরকম ষড়যন্ত্র থেমে গেলো। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আর কারও কোনো কথা নেই। বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যার পক্ষে সম্ভব ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া । বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপক্ষে যুদ্ধে নামিয়ে জয়লাভ করা।  আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু আমাদের  মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। যার নেতৃত্বে আজ আমাদের দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা পদ্মাসেতুর মতো একটা সেতু বানাতে পেরেছি। মেট্রোরেলের মতো জনগণের উপকারি একটা বাহন তৈরি করতে পেরেছি।
শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজ এত উন্নতি হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা দূর্বার শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের এমন একটা আওয়ামী লীগ সংগঠন গড়ে তুলতে হবে । যেখানে কোন বিভেদ থাকবে না। কোন ভেদাভেদ থাকবে না। এমন একটা আওয়ামী লীগ দল গঠন করবো যেখানে বিএনপি কেন কোনদলই আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করার দুঃসাহস না পায়। সকলকে সব বিভেদ ভুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করার আহবান জানান তিনি।