নুর হোসেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কাঁচামরিচের ঝালে বেহাল অবস্থা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হু হু করে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। আমদানির অনুমতি দিয়েও দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। আমদানি অনুমতির এক দিন পরেই এর দাম বেড়ে ৪০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। আবার, রান্নার অন্যতম মসলা জিরা গত বছরে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি সাড়ে নয় শ’ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, করলা ৯০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা। এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামের সবজি পটল। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

মিঠাছড়া বাজারের ব্যবসায়ী কোব্বাত আহমেদ বলেন, প্রতিবছর এসময়ে সবজির দাম একটু বেশি থাকে। কারণ, বছরের এসময়ে সবজির সরবরাহ একটু কম হয়। ঈদের আগে সবজির দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই।বুধবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আড়াই শ’ গ্রাম কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে এক কেজি ৪০০ টাকা। ১০ টাকায় ১০টি মরিচও পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ কাঁচামরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় গত রোববার আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

বড়তাকিয়া বাজারে আসা নুর হোসেন মানিক বলেন, ‘কাঁচামরিচ পচনশীল, তাই অল্প অল্প কেনাকাটা করি। এক দিন আগে কিনে নেয়া কাঁচামরিচের দাম আজ অনেক বেশি।’

এত অল্প সময়ের ব্যবধানে কিভাবে এত দাম বাড়ে- এমন প্রশ্ন তার।

মিরসরাই পৌর সদরের বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৪০০টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সেখানকার ব্যবসায়ী হোরা মিয়া বলেন, আড়াই শ’ গ্রাম কাঁচামরিচ ১০০ টাকা। এক কেজি নিলে ৪০০ টাকা। ৪০০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়।তিনি বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম বাড়ানোর জন্য আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়। বাজারে কাঁচামরিচ নেই- এমন খবর ছড়িয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভালোভাবে বাজার মনিটরিং করলে দাম কমে আসতে পারে।’

এদিকে কয়েক সপ্তাহ আগে জিরা ৪৫০ টাকা দামে পাওয়া গেলেও এখন এর দাম হাজার টাকা। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে মসলার বাজার দর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে জিরা আর আদা। বর্তমানে খুচরা বাজারে জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে নয় শ’ থেকে এক হাজার টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, ঈদুল ফিতরের পর থেকে মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে পাইকারি বাজারে জিরা বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়, যা ওই সময় ৪৫০ টাকা ছিল। আর আদার দাম এ সময়ের ব্যবধানে ১২০ থেকে বেড়ে ৩৬০ টাকা হয়েছে।