আব্দুর রহমান সাঈফ, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে মেঘনা উপজেলা চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ খন্দকার আশফাকুজ্জামান।

নিহত হয়েছেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই ও নলডাঙা গ্রামের মো. আব্বাসের ছেলে নিজাম সরকার (৪০)। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আহতরা হলেন, স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, গত দুইদিন ধরেই থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। গত দুই দিনের জের ধরে সোমবার সকালে স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ এসময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয় ও একজন নিহত হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরও একটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা দায়ের করেছি আমরা। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।