রাজবাড়ী জেলা ঃ
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার প্রশাসন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা একটি প্রজ্ঞাপনে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এ
বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন।
বরখাস্ত হওয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের নাম শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান একটি ফৌজদারি মামলায় আসামীদের অনুকূলে প্রভাবিত করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান এখতিয়ার বর্হিভূত ভাবে মামলার ভিকটিম সম্পর্কে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য দিয়ে প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করেন। এবিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগটি তদন্ত করার পর প্রমাণিত হয়েছে। এবিষয়ে কয়েক বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশটির উত্তর সন্তোষজনক হয়নি। একারণে তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মূলঘর ইউনিয়নের এক নারীকে (বৃষ্টি আক্তার) গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করা হয়। এঘটনায় ওই নারীর শ্বাশুড়ি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীদের জামিন করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান একটি প্রত্যয়নপত্র দেন। প্রত্যয়নপত্রে ওই নারীকে নিয়ে অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমি মোট চারবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। একটি মামলায় প্রত্যয়নপত্র দিয়ে ছিলাম। এঘটনায় আগস্ট মাসে শোকজ করেছিল। আমি জবাব দিয়ে ছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পত্র পেয়েছি। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি আইনি ভাবে এর প্রতিকার করবো।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান একটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ভূক্তভোগি এক নারীকে নিয়ে অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ প্রত্যয়নপত্র দেন। সাময়ির বরখাস্ত সংক্রান্ত একটি পত্র বুধবার আমরা পেয়েছি। পরে চেয়ারম্যানকে তা পৌছে দেওয়া হয়েছে।