রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী পাংশার সন্ত্রাসীরা ভারতে বসে পরিকল্পনা করে টাকা নিয়ে চুক্তির মাধ্যমে হত্যাকান্ড করে থাকে । আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করার পর সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান রাজাবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে (২৭) ও শাওন (২২)। কফিলউদ্দিনের পিতার নাম কাদের মন্ডল। শাওন আবু বক্করের ছেলে। দুজনের বাড়িই পাংশা থানার কশবামাজাইল ইউনিয়নের কুঠিমালিয়াট গ্রামে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারী পাংশায় রোজিনা নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করা হয়। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় শিহাব নামে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাংশা থানার কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থান করছে। সেখানে বসে তারা পরিকল্পনা করে এবং নির্দেশনা দিয়ে পাংশার বিভিন্ন জায়গায় চুক্তিতে হত্যা এবং বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে থাকে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ি রবিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে কফিলউদ্দিন নামে একজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কফিলউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, পাংশায় একটা গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যারা এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এ পযার্য়ে তাদের টার্গেট ছিলো আলাল নামে একজনকে তার হত্যা করবে। আলাল কফিলউদ্দিনের একটি অস্ত্র মামলার স্বাক্ষী ছিল। এছাড়া মনিরুল নামে আরেক জনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আলাল ও মনিরুল দুজনই কুঠিমালিয়াট গ্রামের বাসিন্দা। মনিরুলের সাথে একই গ্রামের ওয়াজেদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ওয়াজেদ কফিলউদ্দিন ও তার গ্রুপকে টাকা দিয়ে ঠিক করেছে মনিরুলকে হত্যা করার জন্য।
আটকের পর কফিলউদ্দিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি তার খালা নাছিমার বাড়ির পরিত্যাক্ত টিনের ঘর হতে দুটি ওয়ান শুটারগান, চারটি তাজা কার্তুজ, দুটি ব্যাগ ও ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
এসময় প্রেস ব্রিফিয়ে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পুলিশ সুপার ( পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) স্বপন কুমার মজুমদারসহ পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।