ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্রকে গুলি, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক,তাহার নিকট হতে, ০২টি আগ্নেয়াস্ত্র ৮১ রাউন্ড তাজা গুলি ০১টি গুলির খোসা, ০৪টি ম্যাগাজিন ০২টি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু উদ্ধার সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
মঙ্গলবার (৫ই মার্চ ২০২৪ইং ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুলহাজ উদ্দীন, বিপিএম, পিপিএম। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মেডিকেল কলেজ ছাত্র আরাফাত আমিন তমাল (২২), পিতা-মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন, স্থায়ী ঠিকানা, গ্রাম- ধামাচামা, থানা-ধুনট, জেলা-বগুড়া, বর্তমান ঠিকানা, গ্রাম-ধানসিঁড়ি নাটাইপাড়া, থানা ও জেলা-বগুড়া, সে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ’এ ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত আছে। গত ৪ঠা মার্চ ২০২৪ইং ৩য় বর্ষের আইটেম পরীক্ষা শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এর একাডেমি ভবনের ৪র্থ তলায় ডাঃ সামাউন নূর শুভ এর কক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃ রায়হান শরীফ (৩২), পিতা-প্রফেসর মোঃ আঃ রাজ্জাক, মাতা-শাহিন পারভীন, গ্রাম-প্রফেসর গার্ডেন এফ৩/এ বিএ কলেজ রোড (সরকারি কলেজ এর পশ্চিম পাশ্বে), থানা ও জেলা-সিরাজগঞ্জ অত্র মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। ৪ঠা মার্চ ২০২৪ইং আইটেম পরীক্ষা চলাকালিন অনুমানিক ১.০০ টার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃ রায়হান শরীফ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অহেতুক বকাবকি করেন। বকাবকির এক পর্যায়ে তার ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল বের করে আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে গুলি করলে উক্ত গুলিটি আরাফাত আমিন তমালের ডান পায়ের উরুর উপরের অংশে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে জনাব মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও জনাব মোঃ শামছুল আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), সিরাজগঞ্জ দ্বয়ের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) চৌকস টিম ও সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশের চৌকস টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃ রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেয় এবং ঐ শ্রেণী কক্ষের টেবিলের উপর হতে ০১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ০১টি গুলির খোসা উদ্ধার করে। অভিযুক্ত শিক্ষকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানায় যে, তার একটি লেদারের ব্যাগের মধ্যে আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রয়েছে, উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১। ০১টি বিদেশী পিস্তল, ২। ৮১ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩। ০৪ টি ম্যাগাজিন, ৪। ০২টি বিদেশি কাতানা (ছোরা), ৫। ১০ টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, ৬। ০২টি ব্রাশ নাকেল, ৭। অভিযুক্তের আইডি কার্ড ০১টি, ৮। অভিযুক্তের ব্যবহৃত নিজ নামীয় ডিজিটাল সীল ০১টি, ৯। অভিযুক্তের ব্যবহৃত ০১টি মোবাইল ফোন ও ১১। ০১টি লেদারের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ০২টি বিদেশী পিস্তল যার বডিতে ইংরেজিতে MADE IN USA ও MADE IN JAPAN লেখা আছে।
২। ৮১ রাউন্ড তাজা গুলি
৩। ০৪ টি ম্যাগাজিন
৪। ০২টি বিদেশি কাতানা (ছোরা)
৫। ১০ টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু
৬। ০২টি ব্রাশ নাকেল
৭। অভিযুক্তের আইডি কার্ড ০১টি
৮। অভিযুক্তের ব্যবহৃত নিজ নামীয় ডিজিটাল সীল ০১টি
৯। ০১টি গুলির খোসা।
১০। অভিযুক্তের ব্যবহৃত GALAXY NOTE 10 LITE মডেলের ০১টি মোবাইল ফোন।
১১। ০১টি লেদারের ব্যাগ।

গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ০১টি এবং মোঃ ওয়াদুদ আলী, এসআই (নিঃ), পিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক এজাহার দায়ের করেন। সার্বিক আইনানুগ প্রস্তুতি শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযুক্তকে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।