বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জটিলতা ও অনিয়মের কারণে চলতি বোরো মৌসুমে অসংখ্য কৃষকের সেচযন্ত্রের অনুমোদন মিলছে না। এতে বোরো মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে পারছে না অসংখ্য কৃষক।

সম্প্রতি জানা যায় উপজেলার কর্মরত বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আরমান মিয়া একসাথে দুটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করায় সঠিকভাবে অফিস করেন না। এছাড়াও উপজেলার বিএডিসি অফিসে দালাল চক্রে ভরপুর।দালাল চক্র ছাড়া কোন কাজই সম্ভব হয়না।

সেচযন্ত্রের অনুমোদনপত্রের (লাইসেন্স) জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ধর্না দিয়ে সঠিক সময়ে লাইসেন্স না পেয়ে উপজেলার অসংখ্য কৃষকেরা হয়রানির অভিযোগ করছেন।এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের হরিপুর ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জু মিয়া বলেন, বিএডিসি অফিসে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে আসলে তারা নানাভাবে কৃষকদের হয়রানি করেন এবং সেচ কমিটির সভাপতি মিটিংয়ের মাধ্যমে সঠিক আবেদন গুলো পাশ করে দিলেও বিএডিসি অফিসের কর্মকর্তারা লাইসেন্স প্রদানেও নানানভাবে কৃষকদের হয়রানি করেন।

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর চরিতাবারী
গ্রামের ছাত্তার মিয়া জানান,বিএডিসি অফিসে তিনি গত৭-৮মাস হলে ঘুরছেন তার সেচ লাইসেন্সের জন্য।এর এক পর্যায়ে সেচ কমিটির মিটিংয়ে রেজুলেসনের মাধ্যমে সেচ লাইসেন্সটি পাওয়ার অনুমতি পেলে তিনি ব্যাংকে মাধ্যমে ১হাজার টাকা জমা দিয়ে লাইসেন্স নিতে আসলে তাকে অফিসের কর্মকর্তা শামছুজোহা বলেন একই গ্রামের আঃ কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন বলে লাইসেন্স প্রদান করা যাবেনা।ছাত্তার মিয়া অফিস ও অভিযোগ সুত্রে জানতে পারেন আঃ কুদ্দুস মিয়া তার নিজ নামে লাইসেন্স পেতে আবদনে করেন কিন্তু তার আবেদনের বিপরীতে একটি অভিযোগ ছিল।নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগের ভিত্তিতে বিএডিসি অফিস কর্মকর্তারা তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা থাকলেও অফিস কর্মকর্তারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কতিপয় দালাল চক্রের হাতে তুলেন আঃ কুদ্দুস মিয়ার লাইসেন্সটি।
অথচ অভিযোগ থাকার পরেও আঃকুদ্দুস কিভাবে এমন অসম্ভব কে সম্ভব করলেন জনমনে প্রশ্ন এখন সেটাই।

আঃ কুদ্দুসের বিষয়টি নিয়ে বিএডিসি উপসহকারী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কর্মচারীদের সাথে সাংবাদিকরা মুখোমুখি হলে তারা দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন শেষে দায় সাড়া উত্তর দেন।এমনকি নিজেদের অন্যায় কাজ ধামাচাপা দিতে আঃ কুদ্দুসের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া অবলম্বনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।এযেন সিনেমার শুটিং সেট বানিয়ে ফেললেন তারা ঘুষ খাবেন তবে ধরা পরলে ফিরত দিয়ে কাজটা সমাধান করবেন।আর যেগুলো ধরা পরবেনা সেগুলো কি ঘুস নয় আত্নশুদ্ধির টাকা।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএডিসি উপসহকারি প্রকৌশলী আরমান বলেন, এই দপ্তরের পক্ষ হতে কোন ধরনের বক্তব্য আমি দিতে পারবো না। আপনাদের যা করার করেন।

উপজেলা সেচ কমিটির সহসভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন,যাদের আবেদন সেচ কমিটিতে এসেছে তাদের আবেদনগুলো তদন্ত করে তথ্য যাচাইয়ে সঠিক ছিল তারাই অনুমোদন পেয়েছে।এছাড়াও কোন অনিয়ম থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।