আতিকুর, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি-ঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ( ১৩ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পুকুরের কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনিরসহ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন।

পুকুরের কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সৈয়দ আলী খান, শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হারুন উর রশিদ, বণিক সমিতির সহসভাপতি মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী মাহী আলভী সোহান বলেন, আমি এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। এ বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধূলা শেষে শিক্ষার্থীরা গোসল দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা ও আশপাশের মানুষের গৃহস্থলি বিভিন্ন কাজের ময়লা-আর্বজনা এ পুকুরে ফেলায় পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই এক সঙ্গে কচুরিপানা অপসারণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

শিক্ষার্থী আশিক শাহ বলেন, উপজেলার শহরের প্রাণ কেন্দ্রে উপস্থিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুকুরটি কচুরিপানার কারণে পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশা মাছির প্রজনন হচ্ছিল। আশা করছি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শেষে পানি ব্যবহারের উপযোগী হবে। ফলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপকারে আসবে এ পুকুরের পানি।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’র প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে এ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার না করায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাই এটি পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিষ্কার শেষে পুকুরের পানিতে শিক্ষার্থীসহ আশে-পাশের শিশুরা যাতে সাঁতার কাটতে পারে প্রশাসনের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার পুকুরের কচুরিপানা অপসারণ কার্যক্রমের শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘প্রশাসন সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে আছে। এ উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ পুকুরের কচুরিপানা অপসারণ করা হচ্ছে। এ কাজে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমি দেখতে এসেছি এবং তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।’