কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ

খুলনার কয়রা কপোতাক্ষ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অদ্রিস আদিত্য মন্ডলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক রেজওয়ানুল করিম বাদী হয়ে সাবেক এই অধ্যক্ষ ও তার দু’সহকর্মীর নামে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেছেন। যার মামলা নং সিআর- ৪৫৮/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কয়বা কপোতাক্ষ কলেজের সাবেক অদ্রিস আদিত্য মন্ডল তার দু’সহযোগী প্রভাষক শ্যামল কান্তি রায় প্রভাষক বিদেশ বগুন মৃধার সহযোগিতায় ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০টাকা আত্মসাৎ করেছেন

এরমধ্যে এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু সাঈদ ও নাজমুল হোসেনের কাছ থেকে যোগদানের সময় কলেজের উন্নয়নের কথা বলে ১ লাখ ৪০ হাজার, ৮ জন শিক্ষক নিয়োগ থেকে ৩৫ লাখ, শিক্ষক সোনিয়া ও মুগি কুতুব উদ্দিনের যোগদানের সময় দু’জনের কাছ থেকে ২ লাখ, মুন্সি কুতুব উদ্দিন পিএইচডি কোর্স সম্পন্ন করতে গেলে তার কাছ থেকে আরও ১ লাখ, শিক্ষক ফোরকান উদ্দিনের নিয়োগ বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার, ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিওভুক্তির জন্য ইংরেজি প্রভাষক রেজওয়ানুল করিমের কাছ থেকে ৩ লাখ, অফিস সহকারী কামকম্পিউটার অপারেটর বিজন বাহদুরের কাছ থেকে কলেজের উন্নয়ন ও এমপিওভুক্তির নাম করে ৮ লাখ টাকা নিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার রেজুলেশন করে বাকি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী শুভজিত মন্ডলের পিতাকে কলেজের দাতা সদস্য করে ১৯ লাখ টাকা নিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার রেজুলেশন করে বাকি ৭ লাখ ৩০ হাজার, কলেজের জায়গায় দোকান গবের অগ্রিম বাবদ মো. মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে দু’টি ঘর বাবদ ৫ লাখ এবং ভাড়া বাবদ ৩৬ হাজার, কলেজের সুপার মার্কেটের দোকান মিজানুর রহমান খোকনকে দিয়ে তার কাছ থেকে দু’টি ঘরের অগ্রিম বাবদ ৪ লাখ, ভাড়া বাবদ ৪৬ হাজার ৫০০ ও হরষিত কুমার দাশের কাছ থেকে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন এছাড়া কলেজের পুরানো ১২০ফুট লম্বা একটি সেমিপাকা টিনশেড ভবন ভেঙে সাবেক অধ্যক্ষ ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন এভাবে সাবেক অধ্যক্ষ তার অনুসারীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন কৌশলে ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলার প্রভাষক রেজওয়ানুল করিম বলেন, অদ্রিস আদিত্য মন্ডল ২০১৭ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে কপোতাক্ষ কলেজে যোগদান করার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ক্ষমতার দাপটে রাতকে দিন আর দিনকে রাত মনে করতেন। তার বিরুদ্ধে কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে গত ১৫ আগস্ট স্বোচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কলেজের আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত এবং তার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষ অদ্রিস আদিত্য মন্ডল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তাতে অসঙ্গতি রয়েছে। আমি স্বপদে ফিরে বিষয়টি দেখবো।’