মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

রাজবাড়ীতে ‘ জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, আসবে দেশে সুশাসন ‘ প্রতিপাদ্যে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালী,  আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৬অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তারিফ-উল-হাসান, জেলা সিভিল সার্জন অফিসারের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার অচিন্ত্য কুমার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আলী জিন্নাহ, সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান শেখ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার ও গোপনীয় শাখার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অংকন পাল। এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, একটি শিশুর জন্মের পর দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় পেতে হলে প্রথম কাজ জন্ম নিবন্ধন করা। একটা সময় ছিল যখন এটা করতে মানুষকে ঘুরতে হতো। এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার মাধ্যমে নাগরিকের জন্ম ও মৃত্যু সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। এর জন্য একটা সরকারি ফি নির্ধারণ করা রয়েছে। এর চেয়ে বেশি নেওয়ার কোন সুয়োগ নেই। প্রথম দিকে যখন জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন করা হয়, এতে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। অনেক নিবন্ধনের সংশোধন করা লেগেছে। তবে এখন আর সে সুয়োগ নেই। যারা এই কাজ করে, তাদের কে আরও সতর্ক ও মনোযোগী হতে হবে। নিবন্ধনের সময় পরিবারকেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে ভূল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

আলোচনা শেষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে জেলার শ্রেষ্ঠ ৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভাকে পুরষ্কার স্বরুপ ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এসময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ মাঝে ১ম পুরষ্কার গ্রহণ করে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ, ২য় পুরষ্কার গ্রহণ করে জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৩য় পুরষ্কার পেয়েছে কালুখালী উপজেলার বোয়ালীয়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং শ্রেষ্ঠ পৌরসভার পুরষ্কার পেয়েছে পাংশা পৌরসভা।

এর আগে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালীটি জেলা শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।