রাজবাড়ীতে শহরের গোদারবাজার মূল ঘাটে আবারও পদ্মা নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে একটা থেকে শুরু হয়। এসময় ভাঙন আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।একটি ভলগেট হতে জিও ব্যাগ এর ভিতর বালি ভর্তির প্রস্তুতি চলছিল। সে সময় রশিদ দের বাড়ির টয়লেট সহ বড় চাপ ভেঙে পরে। অল্পের জন্যে রক্ষা পায় ভলগেটের শ্রমিকরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুই তিন মাস ধরে পদ্মায় থেমে থেমে ভাঙন চলছে। আজকে জিও ব্যাগ সহ পার ধসে পদ্মায় ভাঙন অব্যাহত আছে। এখানে ১০-১২টি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। পাশেই রয়েছে মসজিদ, সরকারি স্কুল, দোকানপাট। আতঙ্কে সবাই বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। রাতে কেউ ঘুমাতে পারে নাই। ডাকাতের ভয়। আবার নদী ভাঙনের ভয়। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এসব বাড়িঘর রক্ষা পেতো। এগুলো পরিবারের অসহায়ের মতো থাকতে হতো না। অনেকেই সবকিছু হারিয়ে কান্নাকাটি করছে। কারণ অনেকে গরীব মানুষ। তাদের অন্য স্থানে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই।এই নদীর পার ব্লক দিয়ে কাজ করার কারণে এসব পরিবার তাদের বাড়ি ঘর পাকা করে স্হায়ী করেছে। তারা যদি বুঝতে পারতো তাহলে এই ব্লক ধসে যাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এত টাকার কাজ কোন কাজে আসবে না। তাহলে হয়তো তারা বাড়ি ঠিক করতোনা।এসময় একজনকে দেখা যায় ঘরের ইট হাতুড়ি দিয়ে খুলে নিয়ে যেতে। এভাবে কি সে সব ইট খুলতে পারবে। তার পরেও একটু চেষ্টা যতটুকু সম্ভব হয়।