শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

ছেলেটি নাম জিহাদ চৌকিদার নামে এক ছাত্র’কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
নড়িয়া থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
আমি রুবেল চৌকিদার (৪৫), পিতাঃ মৃত নুরু চৌকিদার, সাং- খরকরা, ওয়ার্ড-০৪, ফতেজঙ্গপুর, থানা- নড়িয়া, জেলা- শরীয়তপুর। থানায় হাজির হইয়া বিবাদী  নুরুল আমিন রতন (৬০), পিতাঃ আবেদ আলী শেখ, সাং- নশাসন, থানা- নড়িয়া, জেলা- শরীয়তপুর এর বিরুদ্ধে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আমার ছেলে জিহাদ চৌকিদার উক্ত বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। উক্ত বিদ্যালয়ে ছেলেদের কোন ওয়াশরুম না, থাকায় আমার ছেলে বিদ্যালয়ের পাশেই একটি পরিত্যাক্ত কক্ষের পিছনে প্রসাব করে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া গত ২৯/০৫/২০১৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদী নুরুল আমিন রতন আমার ছেলেকে শ্রেণী কক্ষ হইতে ডেকে তার রুমে নিয়ে যায়। এরপর বিবাদী তার হাতে থাকা বাশের লাঠী দিয়ে আমার ছেলেকে এলোপাথারী ভাবে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বাধা ফাটা নীলা ফুলা জখম করে। মারধরের সময় বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমার ছেলের তলপেট লক্ষ্য করিয়া এলোপাথারী ভাবে লাথী মারিলে আমার ছেলের প্রসাবের রাস্তায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমার ছেলের শারিরীক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। বর্তমানে আমার ছেলে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটিকে জানাইলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমার ছেলেকে লাল T.C প্রদান করে। এমতবস্থায় আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে মহোদয়ের দারস্থ হইলাম। আমি আমার ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হয়।

এ বিষয়ে বিঝারী উপসি তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর কাছে গিয়ে তাকে স্কুলে পাওয়া যায়নি এবং মুঠো ফোনে বার বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ শহিদুল আলম রতন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি ছাত্রের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে ছিলাম তারা আসে নাই, পরে আমাকে কল করে বলেছেন এই পর্যন্ত শেষ করেন, কিন্তুু রতন মাস্টার যা করেছেন একটু বেশি হয়ে গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মোঃ ফজলুর হক কে মুঠোফোন কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, আমি মাত্র একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো, যদি সে অভিযুক্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে শিক্ষক যদি অভিযুক্ত হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।