স্টাফ রিপোর্টার: এস. আর টুটুল এম. এল।

তানোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষান্তে, তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন, তানোর উপজেলার ৩নং পাঁচান্দর ইউপির প্রানপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন এর ছেলে আলমগীর হোসেন।

তিনি ২০০০ইং সন থেকে ২০১০ইং পর্যন্ত, তানোর উপজেলার ৩নং পাঁচান্দর ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দলিয় সকল কর্মসূচিতে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তৎকালীন তানোর উপজেলা আওয়ামী ছাত্র লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশনায়, তত্বাবধায়ক সরকার পরিবর্তনের আন্দলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সাথে ছাত্র লীগের কর্মীদের নিয়ে মিছিল-শ্লোগান দিয়েছেন।

বর্তমানে রাজশাহী-৫২’ তানোর – গোদাগাড়ী-১’ আশনে (৩) তিন বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে তৎকালিন আওয়ামী লীগ দলিয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ছাত্র লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের ভূমিকাছিল প্রশংসনীয় ও দৃষ্টি আর্কশিত।

আজকে আওয়ামী লীগের সুদিন এসেছে, অথচ সেই ওয়ান ইলেভেনের সময়ে এমন কি আওয়ামী লীগের দূরদিনে ত্যাগি নিবেদিত প্রাণ তৃণমূল আওয়ামী ছাত্র লীগের সংগ্রামী মুজিব সেনা আলমগীর হোসেন আজ (রং মিস্ত্রি) হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আওয়ামী লীগের স্বর্ণসময়ে অবহেলিত, এই সংগ্রামী মুজিব সেনা সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।।

আজকের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগসহ, সকল সংগঠনের কার্যনিবার্হী কমিটিতে স্থান পাচ্ছে, আওয়ামী লীগ বিরোধি ও স্বাধিনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি- জামায়াত শিবির রাজাকার প্রজন্ম। আর বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায়-নির্ভীক সংগ্রামী মুজিব সেনা, আলমগীর হোসেনের মত ছাত্র নেতারা।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক, রাকিবুল হাসান সরকার (পাপুল) বলেন: অতিব দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এটাই সত্য, আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে রাজপথের অগ্নি ঝরা উত্তাল সংগ্রামে যে সমস্ত নিবেদিত প্রান মুজিব সেনারা শত ভয় ভীতি হামলা মামলা, প্রলোভন আর রক্ত চক্ষু কে উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অটল অবিচল থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরীরের রক্ত ঘাম ঝরানো সংগ্রামের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দান কারী দল আওয়ামী লীগ কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় সমাসীন করেছে, সেই মুজিব সেনারা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার কৃপায় সম্মানিত নীতি ভ্রষ্ট দাম্ভিক অহংকারী, অর্থলোভী, হাইব্রিড পৃষ্ঠপোষক মহোদয় গনের কাছে চোখের বালি আর পথের কাঁটা পরিগনিত হচ্ছে।
কারন এই নিবেদিত প্রান মুজিব সেনারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলে, কথা বলে সম্মানি মহোদয় গনের, স্বজন প্রীতির বিরুদ্ধে, ফলে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার অপরাধে এরা আজ তেনাদের চরম প্রতিহিংসার রাজনীতির স্বীকার। দলীয় স্বার্থ নয় বরং মহোদয় গনের কায়েমী স্বার্থ রক্ষার আওয়ামী পকেট কমিটিতে এসব দুঃসময়ের পরিক্ষীত মুজিব সেনাদের আজ আর জায়গা হয় না, জায়গা হয় তেল মারা চাটুকার হাইব্রিড বসন্তের কোকিলদের, যা আওয়ামী লীগের আদর্শিক ভিত্তিমূলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মহান আল্লাহ না করুন দেশে যদি আবারও ১৯৭৫ পরবর্তী বা ১/১১ এর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তবে আওয়ামী লীগের জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে, সেদিন কিন্তু এ হাইব্রিড বসন্তের কোকিলরা পালিয়ে যাবে। আবার রাজপথে বুক চিতিয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে এ সমস্ত সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাহসী আলমগীর এর মত ছাত্র লীগের সাবেক নেতাদের। আর তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত আবেদন, এসমস্ত নিবেদিত প্রান নির্লোভ মুজিব সেনাদের একটু পরিচর্যা করুন, এদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ টিকে রবে জন্ম থেকে জন্মান্তরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।