ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

র‌্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বড় বাশুরিয়া এলাকার পরকীয়া প্রেমের জেরে নৃশংসভাবে গলাকেটে স্বামীকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি টুলটুলি ও তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল ইসলাম গ্রেফতার করেছে।

ভিকটিম আমিরুল ইসলাম ওরফে দুদু’র সাথে আসামি মরিয়ম খাতুন ওরফে টুলটুলি’র প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। কিন্তু টুলটুলি বিয়ের পরেও তার চেহারা সুন্দর হওয়ার কারণে অনেকের সঙ্গেই অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতো। কেউ তাকে নিষেধ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো। টুলটুলির স্বামী ভিকটিম দুদু এসব কর্মকান্ডে বাধা দিলে, সে তার স্বামীকেও মারধর করতো। এসব বিষয় নিয়ে গত ০৮ জুলাই ২০১০ খ্রি. তারিখ রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে গত ০৯ জুলাই ২০১০ খ্রি. তারিখ সকালে বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে দুদু’র গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবু তালেব ওরফে তারা বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ০৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ টুলটুলি এবং রেজাউলসহ ০৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।

মোঃ কামরুজ্জামান, পিপিএম, অধিনায়ক, র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ২১ অক্টোবর রাত ১০.২০ ঘটিকায় এবং অদ্য ২২ অক্টোবর রাত ২.২০ ঘটিকায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি এবং র‌্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া এলাকায় ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানাধীন পাঠানপাড়া এলাকায়” পৃথক দু’টি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের আলোচিত আমিরুল ইসলাম ওরফে দুদু’কে গলা কেটে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রেজাউলকে সাভার এলাকা থেকে এবং টুলটুলিকে শাহজাদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ রেজাউল করিম (৫৫), বড়চাঁনতারা গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে ও মোছাঃ মরিয়ম খাতুন ওরফে টুলটুলি (৪৮), বড়বাসুরিয়া গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলাম ওরফে দুদুর স্ত্রী, উভয় শাহজাদপুর থানার বাসিন্দা।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।