রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পৌর ওয়ার্ড শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীর শেখ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে তানভীরের বন্ধুমহল ও সহপাঠী ও রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের ১ নম্বর রেলগেইট প্রদিক্ষণ করে আবার একই স্থানে ফিরে আসে। পরে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে” “আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই” “অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার কর, করতে হবে” বলে স্লোগান দেন।
এসময়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে নিহত তানভীরের মা সাহিদা আক্তার আন্দোলন কারীদের সাথে রাস্তায় আসেন। তিনি বলেন, “ আমার বুকের মানিক কি দোষ করেছিল যে তাকে হত্যা করা হলো। আমার বুক যারা খালি করছে আমি চাই তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক। প্রকৃত হত্যাকারী যারা তারা যেন শাস্তি পায়। আমি আর কিছু কইতে পারবো না”।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমরা তানভীরের হত্যার বিচার দাবিতে এখানে এসেছি। আমরা কোন দলের নয়। আমরা সবাই শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার, “ আমার বুকের মানিক কি দোষ করেছিল যে তাকে হত্যা করা হলো। আমার বুক যারা খালি করছে আমি চাই তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক। প্রকৃত হত্যাকারী যারা তারা যেন শাস্তি পায়। আমি আর কিছু কইতে পারবো না”।
সেই রাতে তানভীরকে তার নিজ এলাকা থেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন তা পারেনি। তাই আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কোন আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে আগামিকাল রবিবার দুপুর ১২টায় আমরা আবারও বড় পরিসরে বিক্ষোভ মিছিল বের করবো।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে শহরের বিনোদপুর সার্বজনীন পূজামন্ডব সংলগ্ন স্থানীয় মুন্নুর দোকান থেকে আসার সময় একটি বাঁশ ঝোপের সামনে তিন রাস্তার মোড়ের উপর তানভীরকে এলাপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ফেলে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে পরিবারে লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছালে তানভীর মারা যায়। এঘটনায় তানভীরের মামা আলম শেখ বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত এই মামলার দুইজন আসমিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত তানভীর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।