রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুরী গ্রামের মোছাঃ মরিয়ম আক্তার দশম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার( ২০ জুন) দুপুরে নিজ বাড়িতে ঘরের বাশের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা ঘটনা ঘটায়। নিহত মরিয়ম আক্তার চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুরী গ্রামের মো. সালাম মিস্ত্রির মেয়ে।পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে মরিয়ম ৪র্থ।
নিহতের মা রিনা বেগম(৪৫) জানান, তার মেয়ে বাড়াইজুরী গরীবশাহ দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। তার শ্রেণী কক্ষের রোল(১)। তার মেয়ে দীর্ঘ ৪/৫ মাস যাবৎ একই ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামের নিজামউদ্দিন মোল্লার মেয়ের ছেলে মো. ইয়াছিন মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত রবিবার বিকালে প্রাইভেটের কথা বলে মেয়ে মরিয়ম বাড়ী থেকে বের হয়। প্রতিবেশীদের একজনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার মেয়ে নাকি ইয়াছিনের নানা বাড়ীতে গিয়েছে। আমার স্বামী সালাম মিস্ত্রি সন্ধ্যার দিকে যায় মেয়েকে দেখতে। তিনি মেয়েকে ইয়াছিনের নানা বাড়ীর রাস্তার উপর পেয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসেন।
নিহতের বাবা মো. সালাম বলেন, সোমবার দুপুরে আমি বাথরুমে যাই। আমার ছেলে স্ত্রী চিৎকার দিয়ে আমাকে ডান দেয়। এসে দেখি আমার মেয়ে মরিয়মের ঘর ভিতর থেকে আটকানো। টিনের ফাকা দিয়ে দেখি মেয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলছে। পাশের রুমের টিনের বেড়ার উপর দিয়ে গিয়ে আমি আমার মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থা উদ্ধার করি। ততক্ষণে আমার মেয়ে মারা গেছে। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আমার মেয়ে আজ মারা গিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত ইয়াছিনের খালা মোছা: আলেয়া আক্তার বলেন, নিহতের প্রেমিক মো. ইয়াছিন মন্ডল পাবনা জেলার মোসলেম মন্ডলের ছেলে ও ডাউকি গ্রামের নিজাম উদ্দিন মোল্লার নাতি। সে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। ইয়াছিন নানা বাড়ীতে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। নিহত মরিয়ম আক্তার গত রবিবার ইয়াছিনের নানা বাড়ীতে যাওয়ার আগেই ইয়াছিন ও তার মা-বাবা পাবনায় নিজ বাড়ীতে চলে যায়।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।