মো: আতিকুর রহমান খান,ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি :
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিটিসিএল (টেলিফোন এক্সচেঞ্জ)এর জায়গা ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় ও পয়:নিস্কাশনের যায়গায় পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা ও জনবল সঙ্কটে এ অবস্থা বলে এলাকাবসী মণে করছেন। এছাড়াও বিটিসিএল এক্সচেঞ্জ ম্যাপভূক্ত জায়গা ও রাস্তাও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ম্যাপঅনুযায়ী প্রবেশপথে জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘর উত্তোলন করে জবর-দখল করেছে। এক্সচেঞ্জে একজন লাইনম্যান রয়েছেন। কালে-ভদ্রে খোলা হয় অফিস। জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন কাজকর্ম নেই তাই অফিস খোলা হয় কমই।
জানা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে সরকারি বার্তা আদান-প্রদানে এ স্থানে একটি শক্তিশালী ওয়ার্লেস অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। ওয়ার্লেসের মাধ্যমেই সীমান্ত অঞ্চলের বার্তা আদান-প্রদান হতো। স্বাধীনতার পর সেখানে সরকারীভাবে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে মাবাইল ফোনের কল্যাণে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতে একচেঞ্জের মাধ্যমে এ অঞ্চলে লেন্ড ফোনের ব্যবহার শুরু হলেও আর আগের জৌলুস নেই। অথচ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালু থাকাকালীন সময় অফিসের জায়গা নির্ধারণে খুঁটি ও কাঁটা তারে ঘেরা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এনালগ সিস্টেমের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর পর অফিসের কদর কমে যায়। কর্তৃপক্ষের নজরদারি এবং জনবল কমিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে এলাকার শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ রেজায়ুর রহমান, আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার ও সরায়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, অফিস রক্ষায় বাউন্ডারী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অফিসের সীমানা নিশ্চিহ্ন হয়ে জমিও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। অফিসের বাউন্ডারী না থাকায় সীমানা নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। একচেঞ্জ অফিসটি সংরক্ষিত রাখার কথা থাকলেও অরক্ষিত ও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অরক্ষিত থাকায় অফিসের জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা ও পয়:নিস্কাশনের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে অফিসের সুষ্টু পরিবেশের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও চরম উদসীনতায় সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ যেমনবেহাত হয়ে গেছে বা যাচ্ছে তেমনই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জনমনে দেখা দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। এ অবস্থায় সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ অবস্থা খুবই দুঃখজনক, এর সমাধানে চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে
আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।