আসন্ন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল ও বর্তমান রাজনৈতিক সম্মেলন উপলক্ষে শহরের পান্না চত্বরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি চাইনিজ রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।রাজবাড়ী ১ আসনের  সাংসদ কাজী কেরামত আলী দলের সভাপতি হিসেবে প্রতিদদ্বীতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় তিনি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সংগঠন বিরোধী কার্যক্রম করার অভিযোগ করেন। কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী-১ আসনের (সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা) সাংসদ। জেলা আওয়ামীলীগের চারবার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত সংসদের শেষ দিকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, কোষাধ্যাক্ষ আজগর আলী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান শামীম প্রমূখ।
সাংসদ কাজী কেরামত আলী অভিযোগ করে বলেন, দলের ভেতর মাইম্যান তৈরি করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সব নিজের মতো করে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাত্রলীগের সভাপতি সবার কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে বিবাহিত। বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দলের পদপদবী না ছেড়ে দীর্ঘদিন পদ আকঁড়ে রেখেছে। একইভাবে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী ইপ্তিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা বানানো হয়েছে। সে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী স্বপন কুমার সোমের একমাত্র ছেলের পেটে ছুরি মেরে হত্যা চেষ্টা চালায়। দলের ভালো ছেলেদের সংগঠন থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
সাংসদ কাজী কেরামত আলী অভিযোগ করে বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক আগে থেকেই সুতালি টাঙিয়ে রাস্তা দখল করে নেয়। এরপরও ফাঁকা স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বিলবোর্ড টাঙানো হয়। আমার নিজের বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমার তোরণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা তো সঠিক নয়। আমি দলের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছি। দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করা ঠিক না।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় সে (কাজী ইরাদত আলী) দলের কোনো কর্মকান্ডে ছিল না। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সে দলের প্রোগ্রামে থাকতো না। এখন দায়িত্ব নেওয়ার পর সে দল চালাচ্ছে।
সহসভাপতি হেদায়েত আলী অভিযোগ করেন, সাধারণ সম্পাদক সাহেব তাঁকে সংবাদ সম্মেলনে আসতে নিষেধ করেন। আসলে সমস্যা হবে বলে জানান। আমি চাই দুই ভাই মিলেমিশে একসঙ্গে রাজনীতি করুক।