মোহাম্মদ আলী উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি:

বগুড়ায় দাফনের ১৪ দিন পর কবর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশে উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের আতাহার গ্রাম থেকে তাঁর মরদেহ তোলা হয়।স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি ২৩” রাতে আতাহার গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নাদিরা বেগম মারা যান। এ সময় স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে তাঁর মরদেহ দাফন করেন স্থানীয়রা।পরে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক দাবি করে ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাদিরার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান। ওই মামলায় নাদিরার স্বামী হেলাল উদ্দিনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় আদালত গত ৯ ফেব্রুয়ারি নাদিরার মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টার দিকে বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিলের উপস্থিতিতে ওই মরদেহ তোলা হয়।মামলার বাদী সাইদুর রহমান জানান, ‘আমার বোনের মরদেহে চখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং হাতের নখ কোঁকড়ানো ছিল। এ থেকে বোঝা যায় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ‘মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই চাই।’

বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল জানান,আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়।মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।