রাজবাড়ী রাজবাড়ীঃ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় রাজবাড়ীতে আওয়ামীলীগের এক নেতা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে মামলা দায়ের করেছেন। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে প্রধান আসামী করে মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী  রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা।
মামলার বলা হয়, ১৯ মে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিকেলে পুঠিয়া উপজেলার শিবচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। আসামীরা বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এক নাম্বার আসামী বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উস্কানীমূলক ও মানহানীকর বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এক নাম্বার আসামী বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করবো ইনশাআল্লাহ’। ওই দিনই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রচার মাধ্যমে অনলাইনে দেখতে পেয়ে মর্মাহত ও আতঙ্কিত হন। এতে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ জনমনে আতঙ্ক ও ভয়ের সৃষ্টি হয়। আসামীর বক্তব্যে সারা বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টিসহ অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন ও বড় ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটতে পারে যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। বাদী রাস্তায় বের হলে মানুষ উক্ত বক্তব্য নিয়ে হাস্যকর বক্তব্য প্রদান করছে ও বাদীর মানহানী প্রদান করছে। এতে বাদীর দুই কোটি টাকার মানহানী হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলার সাক্ষী হিসেবে চার জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন – জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুনর রশীদ মানিক,জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বি এম এহতেশাম,কালুখালি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত শেখ।