মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার নামে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসার জমজমাট বাণিজ্য।
চন্দ্রা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় অসাধু কিছু প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে গোপনে শাপলা বোডিং হাউজ সহ বিভিন্ন স্থানে নাটকীয় কায়দায় নাম পরিবর্তন করে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে ও গোপনে চালছে দেহ ব্যবসা । কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজ পাশে সুবর্ণ জামে মসজিদ এবং রয়েছে এতিমখানা মাদ্রাসা। উপজেলা চন্দ্রা এলাকায়এধরনের অবৈধ নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ীরা রুম ভাড়া ও নারীযৌন কর্মীদের ভাড়া মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ গ্রহনের পরে ও পুনরায় পাহারায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও দালাল চক্র মাধ্যমে মালিক ১/মোঃ শাজাহান ২/মোঃ বাবুল মিয়া, ৩/মোঃ সহিদুল সহ একধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে ব্যবসা করে যাচ্ছে।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ সময় শাপলা গেষ্ট হাউজে এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের প্রতি ঘন্টা চুক্তিতে রুম ভাড়া নিতে গুনতে হচ্ছে ২৫০০ / ৩০০০ টাকা। বর্তমানে শাপলা বোডিং হাউজে রুম ভাড়া নিলেই কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে নারীযৌন কর্মীদের দিয়ে থাকেন। মোঠো ফোনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগে করে বিস্তারিত জানিয়ে বহুবার অবহিত করা হয়েছে। দূরুত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেলেই কৌশলে ভবনের গেট বন্ধ করে পিছন দিয়ে বাহির করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে কতৃপক্ষ । গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মীরা আবাসিক হোটেলের গেটের সামনে গেলে। ভিতরে থাকা ম্যানেজার ও মালিকদের বাহিরের থাকা সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত উত্তেজিত বাঁধা প্রদান ও বাকবিতন্ডায়
পূর্বের প্রকাশিত সংবাদের জেরের সূত্রে প্রকাশে নির্যাতন চালায় গনমাধ্যমকর্মীদের উপর। পরে ৯৯৯ ফোনে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। উপস্থিত খবর পেয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনে সাময়িক সময়ের জন্য কৌশলে আবাসিক হোটেল ২/৩ ঘন্টা বন্ধ করে রাখেন । কিন্তু প্রশাসন যেতেই পুনরায় খোলা হয়েছে হোটেলের গেটে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে । এধরণের চোর পুলিশ খেলা কতো দিন চলমান থাকবে চন্দ্রা এলাকায় । আহত গনমাধ্যমকর্মীরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় । এধরণের ঘটনায় সাংবাদিক মহল সুধী সমাজের সাধারণ লোকজনের প্রত্যাশা দেহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো কালিয়াকৈর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে । তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহন করেন।