আহসান হাবীব নাহিদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিধি লঙ্ঘন করে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের ঈদগাহ মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বে কামারপাড়া পিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কিছু মেহগনি গাছ রয়েছে।
দীর্ঘ কয়েক বছরে প্রকৃতির সাথে ঝড়ঝাপটা পেড়িয়ে এই গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। যা এখন আকর্ষণীয় আকার ধারণ করেছে।
ইতিমধ্যেই বিশালাকার এই গাছ গুলোর উপর নজর পড়েছে একটি কুচক্রী মহলের।

গত ৮জুলাই শনিবার হঠাৎ করেই কোনো রেজুলেশন ছাড়াই বিধি লঙ্ঘন করে বিশালাকার ৪টি মেহগনি গাছ কর্তন করে।

পরে এলাকাবাসী অবৈধভাবে গাছ কর্তনে বাধা দিলে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম এর নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে উপস্থিত এলাকাবাসীকে জানান অত্রবিদ্যালয়ের শিক্ষক তারিকুল ইসলাম বংকু।

এসময় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আইন ও প্রতিবাদী এলাকাবাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অদৃশ্য শক্তির জোড়ে একে একে বিশালাকার চারটি গাছ কর্তন করে কামারপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন ছ-মিলে নিয়ে যায়।

পরে বিষয়টি জানতে পেরে ৯জুলাই রবিবার কামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এআরএম মাহফুজার রহমান রাশেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অবৈধভাবে গাছ কর্তনের একটি লিখিত অভিযোগ জানান।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে গাছগুলো আটক করে গ্রাম পুলিশের হেফাজতে ঐছমিলেই রাখা হয়।
এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়।

পরে রবিবার উপজেলা বন কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এসময় বন কর্মকর্তা জানান, অবৈধভাবে এই স্কুলের গাছ কর্তন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দেখতে এসেছি।
এসে দেখলাম বিষয়টি সত্য। চারটি বড় আকারের মেহগনি গাছ কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু গাছ কর্তনের অনুমোদনের কোনো পেপার্স দেখাতে পারেননি কেউ। এগুলো সরেজমিনে দেখে মাপ যোগ করে রাখা হলো।

ইউপি চেয়ারম্যান এআরএম মাহফুজার রহমান রাশেদ জানান, স্কুলের সভাপতি সহ কয়েকজ প্রভাবশালী মিলে কোনপ্রকার অনুমোদন ছাড়াই নিয়ম লঙ্ঘন করে গাছ গুলো কেটেছে।

এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও দাবী করেন তিনি।বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অনতিবিলম্বে অবৈধভাবে গাছকর্তনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান সচেতন মহল।