মোঃ সোহেল রানা ( বরগুনা )ঃ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তারা জানিয়েছে। এর আন্দোলন কর্মসূচি লক্ষ্যে আজ শনিবার বিকেলে বরগুনার বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারিদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাতীয়করণের দাবিতে বেতাগীর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল রবিবার (১৬ জুলাই) শ্রেণিকক্ষে তালাবদ্ধ রেখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. সেলিম আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তিতা করেন বিবিচানি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, মোকামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান, সহকারি শিক্ষক স্বপন কুমার ঢালী, দেশান্তরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহিম, সবুজকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম লাভলু, কুমড়াখালী শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মো. মাইনুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

সভায় শিক্ষকরা বলছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।