শোয়েব হোসেন —ঃ

আজ ২৫ জুলাই ২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০ টায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন-৮ম তলা, ঢাকা) খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর কার্যক্রম অবহিতকরণ এবং অধিদপ্তর কর্তৃক সহযোগিতা প্রদান সংক্রান্ত সভা আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব এ.এইচ.এম.সফিকুজ্জমান, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং প্রধান কর্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর কনসালটেন্ট জনাব মোস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রফেসর সোহেল রেজা চৌধুরীসহ অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ।

অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত এডভোকেসি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকের আয়োজিত সভাটি জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে বলেন।

অত:পর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর ড. আবরার একটি প্রেজেন্টেশন স্লাইট এর মাধ্যমে খোলা ভোজ্যতেলের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরেন এবং খোলা ভোজ্যতেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে কাজ করবে তা তুলে ধরেন। আরও বলেন, খোলা ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মান অনুযায়ী ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না। তাছাড়াও খোলা তেলের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড কন্টেইনার না হওয়ায় তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং রিফাইনিং প্রসেসে ব্লিচিং করে তেলের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমেও এর গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী মনিটরিং এর মাধ্যমে বর্ণিত সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারবে।

মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সভার সকলকে অবহিত করেন এবং খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার লক্ষ্যে অধিদপ্তর কিভাবে সার্বিক সহযোগিতা করবে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি আরও বলেন, আলোচনা অনুযায়ী বিধিবদ্ধ আইন অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত করে খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

আলোচনায় মহাপরিচালক বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির বিষয়ে অধিদপ্তর কর্তৃক অতিসত্ত্বর তদারকি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে মর্মে ভোজ্যতেল রিফাইনারি গুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যৌথ উদ্যোগে রিফাইনারিগুলোসহ অংশীজনদের নিয়ে সচেতনতা মূলক সভা আয়োজন করতে পারি।
সভায় মহাপরিচালক বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খোলা তেলের ক্ষতিকর দিকগুলো ভোক্তাদের নিকট তুলে ধরে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তা প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কোন পর্বের বিষয় খোলা ভোজ্যতেল সংক্রান্ত নির্ধারণ করেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

পরিশেষে মহাপরিচালক ভোক্তার নিকট গুণগত মান সম্পন্ন পণ্য বিশেষত ভোজ্য তেলের মান নিশ্চিত করা এবং খোলা সয়াবিন তেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার লক্ষ্যে সকলে এক সাথে কাজ করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।