বিপুল রায় -নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কালারচর বাজার এলাকার চরাঞ্চলের মানুষকে নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান পরিচয় দিয়ে,৯০.৫.০০০ নয় লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ।আহসান হাবিব সিদ্দিকী নামের এক ইলেকট্রিশিয়ান এর বিরুদ্ধে। আহসান হাবীবের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ড পশ্চিম নেওয়াশী পন্তাবাড়ী এলাকার মোঃ আবুল বাশার সিদ্দিকী (ড্রাইভারের ছেলে)সে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় নাগেশ্বরী হতে বদলীকৃত সাবেক ইউএনও
(নুর আহমেদ মাসুম) সাক্ষর জাল করে ভুয়া লাইন্সেস দিয়ে ১৭ জনের কাছে সেচ পাম্প সংযোগ বাবদ ৫.৯৫.০০০/পাঁচ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা।ও রাইস মিল সংযোগ বাবদ তিন জনের কাছে ১.২০.০০০/এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা,এবং আবাসিক মিটারে সেচের অনুমতি বাবদ
১৯ জনের কাছে ১.৯০.০০০/এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা মোট ৩৯ টি গ্ৰাহকেরসর্বমোট,৯.০৫.০০০/নয় লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা আত্মসাত করে।

ভুক্তভোগীরা জানান ঘটনার সত্যতা জানার পর। আমরা কয়েকজন মিলে তার বাড়িতে যাই ।এবং তার বাবা আবুল বাশার সিদ্দিকী কে
জানাই। ও তার চাচাকে ভুয়া জাল সাক্ষরিত কাগজপত্র দিয়ে আমাদের টাকা ফেরত চাই ।টাকা চাইতেই তারা সকলে মিলে হুমকি ধামকি দিয়ে
বাড়ি থেকে বের করে দেয়, তার পর এলাকাবাসী কে সকল কাগজপত্র দেখাই কিন্তূ তাঁদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না

এবিষয়ে নেওয়াশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাহফুজার রহমান মুকুল সাহেব কে অবহিত করলে ।তিনিও কয়েক ধাপে বৈঠক করেও ব্যর্থ হন এতে নিরুপায় হয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করেছি ।ভুক্তভোগীরা জানান আমরা চরাঞ্চলের অসহায় মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা দিছি আমরা টাকা ফেরত চাই এবং এর সুষ্ঠ আইনি বিচার চাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার আহাম্মেদ জানান লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কর্মকর্তা কে দায়িত্ব দিয়েছি
তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্ৰহন করা হবে ।