মেনহাজুল ইসলাম তারেক, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি-ঃ

‌হরতাল অবরোধে নাশকতার আশঙ্কা’য় দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রাজশাহী রুটের উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে এই ট্রেনটি সাময়িক বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জারি করা এক আদেশে ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পশ্চিম) মোঃ আব্দুল আওয়াল সই করা আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হরতাল অবরোধ তথা নাশকতা এড়ানোর লক্ষ্যে পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা ৩২/৩১ নম্বর উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটির চলাচল ২২ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো। জানা গেছে, নিরাপত্তার কথা ভেবে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে। মূলত ট্রেনটি অনেক রাতে যাত্রা করে।
এদিকে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহী গামী উত্তরা ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। মালামাল পরিবহনে দেখা দিয়েছে প্রকট সংকট। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়ায় আন্তঃনগর ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
পার্বতীপুরের গুড় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, এখন গুড়ের মৌসুম। প্রতিদিন উত্তরা ট্রেনে করে চাহিদা মতো গুড় আড়ানি থেকে নিয়ে আসেন। সেই গুড় তিনি পার্বতীপুর থেকে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এলাকায় পাঠান। ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তিনি। শহরের দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ ট্রেনটিতে যাতায়াত করতো। গরীবের এই ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত যাত্রী।
স্টেশনে কর্মরত কুলির সর্দার আমজাদ হোসেন বলেন, তারা ৭ জনের মতো কুলি প্রতিদিন পার্বতীপুর স্টেশনে কাজ করেন। প্রতিদিন তাদের আয় হতো ৪০০-৫০০ টাকা। উত্তরা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় তাদের রোজগার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
পার্বতীপুর স্টেশন মাষ্টার রফিক চৌধুরী বলেন, উত্তরা ট্রেনটি থেকে পর্যাপ্ত রাজস্ব আসতো। যাত্রীর পাশাপাশি গুড়, চুন, খয়ের, খড়, সবজি বুকিং হত।
নাশকতা এড়াতে ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মূলত আমি বলতে পারবো না, তবে ট্রেনটির নিরাপত্তার কথা ভেবে তা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এক সপ্তাহ পর আবার তা চালু হবার সম্ভাবনা রয়েছে।