ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে চার দিন ধরে নেই সূর্যের কিরণ। গত চার দিন ধরে হিমেল হাওয়া, প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শীতের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চরাঞ্চলের শিশু-বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।
সরেজমিনে রবিবার (১৪ জানুয়ারি ২০২৪) বিকালে সিরাজগঞ্জের হাসপাতাল গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ নবজাতক, শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছেন। এসব শিশুর মধ্যে কেউ কেউ কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি ২০২৪) সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে সিরাজগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা। সেই সঙ্গে মৃদু হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজের উদ্দেশে বের হলেও তারা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। শহরে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় রিকশা, অটোরিকশা চালকেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও ভাড়া পাচ্ছেন না।
মিরপুর ওবদার কয়েকজন রিকশাচালক দের সাথে কথা বলি সে সময় রিকশাচালক জহুরুল ইসলাম বলেন প্রচণ্ড শীতে মানুষ জন কম বের হয় ভাড়া নেই বললেই চলে। আধঘণ্টা পরপর ১০-২০ টাকার ভাড়া পাচ্ছি। ভাড়া নামিয়ে আবার হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকছি।
মিরপুর ওবদার অটোরিকশাচালক রহিম বলেন, ভাইরে ভাই যে ঠান্ডা পরছে ভাড়াই তো নাই। আমি বাজার স্টেশন থেকে কড্ডা পযর্ন্ত ভাড়া মারি আজ দেখে লোক জন কম।