মোঃ ফিরোজ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চার জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা রুজু করে পুলিশ আট জনকে আটক দেখিয়ে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠান।

আহতরা হলেন, উপজেলার দীঘা গ্রামের শহিদুর ইসলাম (৬২), মনিরুজ্জামান রনি (৩৮), জগদিসপুর গ্রামের জিহাদ (২২) ও সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামনা আক্তার (২৮)।

আটককৃত রাব্বি হোসেন, শহীদ হোসেন, আশিক হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রফিক হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন, হাফিজ ও শহীদকে শনিবার নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা ও প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার জয়সাড়া গ্রামে কৈ মাছ ও কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এতে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও ভাতিজা মনিরুজ্জামান রনি এবং সমর্থক জিহাদ আহত হন। একই ঘটনায় কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর বৌমা কামনা আক্তারও আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লুৎফা খাতুন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় চার জন সামান্য জখম হয়ে হাসপাতালে এলে তাদের চিকিৎসা দেই।

এদিকে, এ ঘটনায় দিঘা গ্রামের সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে রাত সাড়ে ১২টায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঘটনার সময় রাত সাড়ে ৭টা উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনা ঘটে রাত সোয়া ১১টার পর।

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম জানান, কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ও ভাতিজা আমার ভোটারকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।

আত্রাই থানা ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান বলেন, সাদা রঙের গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়িসহ আট জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে গাড়িতে কোনো অপহরণকারী পাওয়া যায়নি। পরে সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ করলে তাদের আটক দেখানো হয়।