রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী কালুখালী উপজেলায় রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ওয়ার্ড আয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকে হাতুরি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭জুন) দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় সংলগ্ন মেম্বারের কেবল নেটওর্য়াকের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ওই নেতার নাম পলাশ শেখ। সে মাছবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের রস্তম আলী শেখের ছেলে। পলাশ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আহত পলাশ শেখ রাহজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের বাসিন্দা জেলা পরিষদের সদস্য মো. ইউসুফ আলী মেম্বারের ছেলে সোহেল ও রাসেল, আজাহার মোল্লার ছেলে জিল্লুর রহমান ও জয়নাল শেখের ছেলে কামরুল শেখ।
পলাশ শেখ বলেন, রাত আটটার দিকে ইউসুফ মেম্বারের ছেলে রাসেল আমাকে ফোন করে তাদের কেবল নেটওর্য়াকের অফিসে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে মন্ত্রীর কর্মসূচিতে কেন গিয়েছিলাম এ বিষয়ে জানতে চায়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে বলে ব্যবসা বানিজ্য করে খাচ্ছো এই ঈদে আমাদের খরচ পাতি দিতে হবে। আমি তাদেরকে খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় তারা চারজন মিলে আমাকে হাতুরি দিয়ে এলাপাতারি আঘাত করে। পরে লোকজন গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমার দুই পায়ে ও পিঠে হাতুরির আঘাতে মাংস কালো হয়ে গেছে। আমার পিঠে অনেক যায়গায় আঘাত করেছে। আমার কানে আঘাত করেছে। আমি এখন কানে ঠিকমত শুনতে পাচ্ছিনা। মারতে মারতে তারা আমাকে বলে মন্ত্রীর প্রোগ্রামে যেতে হলে আমাদের সাথে যেতে হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেলকে ফোন দিলে তিনি বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটে নি। উনি যদি বেশি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে থানায় মামলা দিতে বলেন।
কালুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম খয়ের বলেন, আমি মারামারির বিষয়টি শুনেছি। পলাশ নামে একজন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আছে। তবে এ ঘটনায় কারও সাথে আমার দেখা হয়নি।
রাজবাড়ী কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেই কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।