মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের আওতায়  বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষে ইলিশ আহরণকারী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হযেছে । “ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত “উপজেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির” উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৩জুন) বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই গরু বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গরু বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা-আল-রাজীব। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ, দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিন, খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরিফুর রহমান সোহান প্রমুখ।উপজেলার বরাট, খানগঞ্জ, মিজানপুর ও দাদশী ইউনিয়নের মোট ৩০ জন জেলের মাঝে এ গরু বিতরণ করা হয় ।
গরু পেয়ে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরনারায়নপুর গ্রামের জেলে আব্দুস ছাত্তার প্রামানিক বলেন, বছরের আটমাস ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। এতে আমাদের খুবই কষ্টে দিন কাটে। আজ একটা ছোট বকনা বাছুর দিয়েছে। এটা যদি আমি পেলে পুষে বড় করতে পারি তাহলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
আরেক জেলে নেপেন হালদার বলেন, আমি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি । বছরের সব সময় নদীতে মাছ পাওয়া যায়না । এছাড়া মাঝে মাঝে নদীতে  মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় । তখন আমরা অলস সময় পার করি। তখন মূলত আমরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। আজ একটা গরু পেয়েছি। এটা লালন পালন করে কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
বক্তারা বলেন, গরু ও চাউল দিয়েও জেলেদের জাটকা আহরণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা যদি জাটকা আহরণ বন্ধ না করি তাহলে আমরা বড় ইলিশ পাবো কোথা থেকে। নদীতে ইলিশ বেশি পাওয়া গেলে কম দামে আমরা মাছ খেতে পারবো।  বছরের নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত  আট মাস জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধথাকে।  জেলেরা যাতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় একারণে তাদেরকে বকনা বাছুর বিতরণ করা হচ্ছে। জেলায় যারা মৎস্য স্বীকারের সাথে জরিত। সকলের তালিকা করা হয়েছে। আজ সদর উপজেলার ৩০ জন প্রান্তিক জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর  বিতরণ করা হয়েছে।