বিপুল ইসলাম আকাশ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম সরকার লেবুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব‍্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের নিকট একটি স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল আলম সরকার লেবু ২০১৭ সালে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আওয়ামী লীগে ঢুকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ হাতিয়ে নেয়। এছাড়া তিনি ২০১৬ সালে ৪নং বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে নৌকা প্রতীক প্রার্থীকে হারায় এবং সে নিজেও পরাজিত হয়। সে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা ঐ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়। এরপর অপকৌশলে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তথ‍্য গোপন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। একই কায়দায় অর্থের জোরে আসন্ন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

অভিযোগ পত্রে আরোও উল্লেখ আছে, আশরাফুল আলম সরকার লেবুর বিরুদ্ধে অত্র উপজেলায় অসহায় মানুষের কাছে জে জে ব্রিকস ইট ভাটার নামে ইট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার। আরোও কথিত আছে গত ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ সংসদীয় এমপি কুখ‍্যাত রাজাকার আব্দুল আজিজের সাথে সখ‍্যতা থাকায় সে সময় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তিনি ভোগ করেছেন।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির কয়েকজন যুগ্ম-আহ্বায়ক জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু ২০১৬ সালে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনীত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করতে নিজে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখানে হেরে যায়। তিনি মুলত জামাতের প্রার্থীকে জেতাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ২০১৯ সালে তিনি তথ্য গোপন করে নৌকা মার্কা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়েন।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, অভিযোগ করতে পারে এটা দেখার জন্য এনএসআই, ডিএসবি গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখবে যার অভিযোগ আছে সে কোথায় করে করুক।