রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে সাপের কামড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪জুন) সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসা অবহেলার কারণেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নারীর নাম সুবিতা দাস (৬০)। তিনি কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের ধুবারিয়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ দাসের স্ত্রী।
নিহত সুবিতার স্বজন অন্তর কুমার দাস বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে সুবিতাকে তার বাড়ির টিউবয়েলর কাছ থেকে (গোখরা) সাপে কামর দেয়। ৬টা ২০ মিনিটে তারা সুবিতাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় তালায় ২২০ নাম্বার রুমে ডা. শামীম আহসানের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তার হাতের বাধন খুলে দিয়ে ড্রেসিং করার পরামরর্শ দিয়ে তৃতীয় তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। ডা. শামীম আহসান বলেন ১ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর তার অ্যান্টিভেনম দেওয়া হবে। আমরা রোগীকে তৃতীয় তলায় ভর্তি করি।রোগীর অবস্থা খারাপ হতে লাগলে শামীম আহসানের কাছে আবারও যাই। তখন তিনি বলেন অ্যান্টিভেনম রেডি করতে সময় লাগবে। পরে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার আগেই ৭টা ৯ মিনিটে সুবিতা মারা যান।। প্রায় ১ ঘণ্টা সময় পার হলেও তাকে কোন অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয় নি। যদি তাকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হতো তাহলে হয়তো সে বেঁচে যেতো।
সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট মো. শামীম আহসান বলেন, একজন সাপে কামড়ানো রোগীকে অ্যান্টিভেনম দিতে গেলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় প্রযোজন হয়। হাসপাতালে আনার পর থেকেই আমরা তার পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অ্যান্টিভেনম দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রোগী অ্যান্টিভেনম দেওয়ার আগেই মারা যান।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, আমি একটি অপারেশন থিয়েটারে আছি। একজন সাপে কামড়ানো রোগীর মারা যাওয়ার কথা জানতে পেরেছি। হাসপাতালে সাপের অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। কেন রোগীর শরীরে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়নি বিষটি যারা চিকিৎসা দিয়েছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।