মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী:

রাজবাড়ীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মো. জুলহাস শেখ নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাজবাড়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মো. মজিবর তালুকদার ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগম।  মজিবর তালুকদার একই গ্রামের হাচেন তালুকদারের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর জমি জমা নিয়ে রোজিনা ও জুলহাসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রোজিনার স্বামী মজিবর রহমান তার হাতে থাকা কাচি দিয়ে জুলহাসের মাঁথায় কোপ দেয়। জুলহাস মাঁথা সরিয়ে ফেললে কাচি গিয়ে তার ঘারে লাগে। সেখানে কাচির আঘাতে কিছুটা ক্ষত সৃষ্টি হয়। পরে জুলহাস রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যায়। তার পর দুই পক্ষের মধ্যে এলাকায় আপোষ মীমাংসার কথা হলেও আসামিরা আপোষ না করায় ভুক্তভোগী রাজাবাড়ী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

জুলহাস শেখ বলেন, ‘আমার আর মজিবর তালুকদারের পাশাপাশি জমি রয়েছে। মজিবর তালুকদার তার জমি অন্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছে। সে তার জমির সাথে থাকা আমার জমির কিছু অংশ তাদের দখলে দিয়ে দিয়েছে। আমি তাকে বলেছিলাম আমিন দিয়ে জমি মেপে দিতে। এটাই আমার অপরাধ। তারা শক্তিশালী মানুষ। আমাকে দুর্বল পেয়ে তারা আমার জমি জোড়পূর্বক দখল করে আছে। আর এই দখলকৃত জমি ছেড়ে দিতে বলায় তারা দুইজন মিলে আমাকে মেরেছে। আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কাচি দিয়ে তারা আমার মাথায় কোপ দেয়। সেটা আমার ঘারে লেগেছে। এবং আমার ঘারে কয়েক জায়গায় কেটে গেছে। আমাকে পুুকুরের পানির নিচে ধরে রেখেছিল। পরে আমার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে। আমি এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

রোজিনা বেগম বলেন, ‘আমরা একটি জমি বিক্রি করেছি। সেই জমির পাশে  জুলহাস নামে একজনের জমিও আছে। জুলহাস দাবি করেছে এই জমির মধ্যে তার কিছু জমি রয়েছে। আমরা তাকে বলেছি আমিন এনে মেপে নিতে। কিন্তু সে তা না করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাকে গালিগালাজ করায় আমার স্বামী তাকে ধাক্কা মারে। কোন প্রকার কোপাকোপি হয় নাই।  শুনেছি আমাদের নামে মামলা করা করেছে।’

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আদালতের কোন নির্দেশনা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। নির্দেশনা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’