শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলা যুবদল নেতা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৃত্যুঞ্জয়ী যুবনেতা এ্যাডভোকেট মৃধা নজরুল কবির বলেছেন, বিএনপিকে একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। সে যড়যন্ত্র মিলেমিশে মোকাবিলা করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

সম্প্রতি শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বিএনপি আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালু।
এসময় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুরের এই তুখোড় যুব নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ, অন্য কারো নয়। আর এদেশের যুব সমাজ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আর শরীয়তপুর-১ আসন তথা পালং-জাজিরার মানুষ,
শরীয়তপুরের লৌহমানব, একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাই আবারও তাকে এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে সকলকে আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থাকা এই যুবনেতা এসময় আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার বিদায় হয়েছে। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশে নতুন গণতন্ত্র সৃষ্টি হতে চলেছে। এ গণতন্ত্র ধরে রাখতে হবে। আমার শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, জমি দখলকারীরা আমাদের (বিএনপি) কর্মী হতে পারে না।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও গণতন্ত্রের মা, আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শের সৈনিক মৃধা নজরুল কবির আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেই বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। যারা দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর অত্যাচার নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী মামলা হবে। আমরা কখনও আইনকে নিজের হাতে তুলে নেব না, আইন অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব বিচার বিভাগ পদক্ষেপ নেবে আইনের মাধ্যমে। কিন্তু কেউ কোনো ভাবে আইনকে হাতে তুলে নেবে না।