বছরখানেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। এতে তাঁর বা ভেঙে যায়। পায়ের মধ্যে রড ভরে দেওয়া হয়। শুক্রবার তিনি চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে যাচ্ছিলেন। পথে ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফরিদপুর নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
নিহতের নাম অমিত কুমার হালদার ওরফে ভোলা (৩৫)। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুরা গ্রামের বাসিন্দা। এক সন্তানের জনক অমিতের বাবার নাম নরা কুমার হালদার। তিনি চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পাংশা উপজেলা শহরের বিষ্ণুপুর গ্রামের আজিজ সরদার বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে পেট্টল পাম্প এলাকায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছরখানেক আগে মোটরবাইক থেকে নামার সময় পা পিছলে পড়ে যান। এতে তিনি বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পান। চিকিৎসক তাঁর পায়ের মধ্যে রড ভরে দেয়। শুক্রবার সকালে তিনি পায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য পাংশা পৌর শহরে একটি ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে এক বন্ধু ছিল। অমিত মোটরবাইকের পিছনে বসা ছিলেন। পথে পাংশা পৌর শহরের পেট্টল পাম্প এলাকায় পৌছানোর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যক্তিগত গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথা, বুক ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। তাকে উদ্ধার করে দ্রæত পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে পৌছানোর কিছু সময় পরে তিনি মারা যান।
নিহতের প্রতিবেশী ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবদুর রব বলেন, রব বালুর চাতালে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতো। সবসময় হাসিখুঁশি মনের মানুষ ছিল। আন্তরিক ব্যবহারের কারণে ছোট-বড় সবার কাছে সে খুব জনপ্রিয় ছিল। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। সন্ধ্যার পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।