রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বহরপুর বাজার খান সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্থদের।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বহরপুর বাজার খান সুপার মার্কেটের তুলার কারখানা থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে মাধ্যমে এ অগ্নিকান্ডে সুত্রপাত বলে জানান তুলার কারখানার শ্রমিকরা।
জানা গেছে, বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২টি ইউনিট দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
ভাই-ভাই ইলেক্টনিকের মালিক মো. ওমর বিশ্বাস জানান, এই অগ্নিকান্ডে ইলেক্ট্রনিক দোকানের প্রায় ৪০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
তুলা ব্যবসায়ী মো. আব্দুল বাশার বলেন, তার দোকানে বিভিন্ন মেশিন, মজুত রাখা তুলা সহ প্রায় ১০লক্ষ টাকার মালামাল অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এছাড়া কসমেটিকের দোকানী শফিকুল ইসলামের প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা, সুতা ও প্লাস্টিকের দোকানী সুদেব সরকারের প্রায় ৩০লক্ষ টাকা, অটো রিক্সা গ্যারেজের মো. ফয়সালের দোকানে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা, কুদ্দুস এন্টার প্রাইজের ভাংগারির দোকানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
বহরপুর বাজার খান সুপার মার্কেটের মালিক মো. আলী মুনছর খান বলেন, আমার মার্কেটের ৮টি দোকানঘর আগুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুপুরের দিকে তুলার দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দোকানীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরে বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঘটনাস্থলে এসে প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. সৈয়দ শরাফত আলী খান বলেন, দুপুর ১টা ১০ মিনিটের সময় মোবাইল ফোনে সংবাদ পাই। ১ টা ১৭ মিনিটের মধ্যেই ঘটনা স্থলে এসে ১.৪০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। সর্ব শেষ বিকাল ৩.৫৪ মিনিট পর্যন্ত আগুন সম্পন্ন নিভাতে সক্ষম হই। তদন্ত সাপেক্ষে বহরপুর বাজারের খান সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। ধারণা করা যাচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিকেলে বাজার পরিদর্শন করেন। এবং ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের সহায়তা ঘোষনা করেন।