রাজবাড়ীতে বাল্য বিয়ের আসরে অভিযান চালিয়ে ২ ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় বর ও কনের খালাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
শুক্রবার বিকালে বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী (১৫) বিয়ের আয়োজন করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাষ্টার, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ, আনসার সদস্য ও গ্রাম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।জানাজায় পাত্রী সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে তার রোল নং ১। সেখান থেকে পাত্রীসহ কন্যার বাবা, নানা পালিয়ে যায়। সেখানে সাউন্ড বক্স, রান্না করা খাবার, ডেকোরেটরের সামগ্রী, সামিয়ানা ইত্যাদির অস্তিত্ব লুকায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাত্রীর খালা রুপালী বেগমকে আটক করা হলে তিনি পাত্রীর সন্ধান জানান। সেখানে পাত্রীকে পান। এ অবস্থায় বাল্য বিবাহে সহযোগিতা করায় পাত্রীর খালাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮ বছর বয়সপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউজানী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুর রহমান বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সহ বরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এসময় কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আলাদা থাকার মুচলেকা উভয় পক্ষ থেকে নেয়া হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে আরও সচেতন করতে হবে। আমরা যার যার স্থান থেকে সচেতনতা সৃষ্টির দায়িত্ব নিতে হবে।